জঙ্গি তৎপরতা রোধে চেকপোস্ট স্থাপন ও ব্লক রেইডের নির্দেশ আইজিপির
প্রকাশিতঃ 8:16 pm | June 12, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :
জঙ্গি তৎপরতা রোধে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন ও ব্লক রেইড পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার)।
তিনি বলেছেন, বর্তমানে দেশে জঙ্গি কর্মকান্ড কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জঙ্গি তৎপরতা যেন কোনভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের অত্যন্ত সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
বুধবার (১২ জুন) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের তিনি এ নির্দেশ প্রদান করেন।
সভায় সকল রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটনের কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপাররা অংশ নেন।
জঙ্গিদের বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি
আইজিপি বলেন, জঙ্গি তৎপরতা রোধে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন ও ব্লক রেইড পরিচালনা করতে হবে। কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার করে আগন্তুক সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়মিত মনিটর করতে হবে। জঙ্গিদের সম্পর্কে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে।

বিদেশী নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত
পুলিশ প্রধান বলেন, বর্তমানে দেশে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব মেগা প্রকল্পে কর্মরত এবং দেশে বসবাসকারী বিদেশী নাগরিকদের নিরপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
মাদক বিরোধী সামাজিক আন্দোলন
আইজিপি ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। মাদকের বিস্তার রোধে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে মাদক বিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক
আইজিপি বলেন, গত পহেলা বৈশাখ, বৌদ্ধ পূর্ণিমা, রমজান এবং ঈদুল ফিতর অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়েছে।
বর্তমানে সামগ্রিকভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক। এ অবস্থা ধরে রাখতে পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন আইজিপি।
অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার নির্দেশ
সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) এম খুরশীদ হোসেন গত ৩ মাসের (জানুয়ারি-মার্চ ২০১৯) সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। সভায় অপহরণ, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদকদ্রব্য, চোরাচালান দ্রব্য, অস্ত্র ও বিষ্ফোরক উদ্ধার, সড়ক দুর্ঘটনা, গাড়ি চুরি, রাজনৈতিক সহিংসতা, অপমৃত্যু, পুলিশ আক্রান্ত মামলাসহ দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।
আইজিপি খুন, ডাকাতি, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কারা
সভায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, সারদা, রাজশাহীর প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ নাজিবুর রহমান, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার মো: আছাদুজ্জামান মিয়া, এন্টিটেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ আবুল কাশেম, রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজিপি মো: মহসিন হোসেন, সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম,
টিএন্ডআইএম এর অতিরিক্ত আইজিপি মো: ইকবাল বাহার, এপিবিএন এর অতিরিক্ত আইজিপি মোশারফ হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি (এফএন্ডডি) মো: শাহাব উদ্দীন কোরেশী, পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান, অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এমএইচএ/এএ