দেশে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

প্রকাশিতঃ 5:06 pm | August 21, 2025

খুলনা প্রতিবেদক, কালের আলো:

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির যুগে প্রতিটি শিল্প রূপান্তরের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে হয়তো পুরানো প্রযুক্তির পাওয়ার ক্যাবল বা টেলিকম ক্যাবলের চাহিদা কমবে। আবার নতুন প্রযুক্তির ক্যাবলের চাহিদা বাড়বে। বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেড বিভিন্ন প্রজন্মের ক্যাবল উৎপাদন করে। এখানে ক্রমাগত পুরানো প্রযুক্তির বদলে নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। একই সঙ্গে কার্যকর মার্কেটিং পলিসি ও মার্কেটিং নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে খুলনার শিরোমণি এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেড (বাকেশি) পরিদর্শন শেষে প্রতিষ্ঠানটির সম্মেলনকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘কমিউনিকেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র বিবেচনায় নিলে দেশে পাঁচলাখ কিলোমিটার ফাইবার অপটিক ক্যাবল নেটওয়ার্ক থাকা প্রয়োজন। কিন্তু দেশে কেবল দেড় লাখ কিলোমিটার ফাইবার নেটওয়ার্ক রয়েছে। আবার বিদ্যমান নেটওয়ার্কের ৭৫ শতাংশ ওভারহেড নেটওয়ার্ক, যা বিভিন্ন দুর্যোগের সময় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। যোগাযোগ নেটওয়ার্ককে মানসম্মত ও কম ঝুঁকিপূর্ণ রাখতে সংযোগগুলোকে মাটির নিচে দিয়ে নেওয়া দরকার। আবার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবাখাতের পুরানো ক্যাবল নেটওয়ার্ককে একক ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল নেটওয়ার্কের অধীনে আনা এখন সময়ের দাবি। তাই বাংলাদেশে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল শিল্পের অমিত সম্ভাবনা রয়েছে।’

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘ফ্যাক্টরিটির জন্য পরিবেশবান্ধব ও দুষণমুক্ত সবুজ কারখানার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন অতি দ্রুত গ্রহণের উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলে এখানকার উৎপাদিত পণ্যগুলোর ব্রান্ডভ্যালু বাড়বে। একই সঙ্গে এখানে উৎপাদিত পণ্যের নতুন ও সম্ভাবনাময় বাজার ও ক্রেতা খুঁজে বের করতে হবে। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ও সার্বিক সহযোগিতা করবে।’

এসময় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আমিরুল ইসলাম, বাকেশির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ ও বাকেশির কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/আরডি/এমডিএইচ