পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠন চায় ৭১ শতাংশ মানুষ

প্রকাশিতঃ 1:43 pm | August 12, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

অধিকাংশ নাগরিক জাতীয় সংসদ কাঠামোয় বড় পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছেন। জরিপ অনুযায়ী, ৭১ শতাংশ মানুষ আনুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠনের পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। এছাড়া, ৬৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী ত্রিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা— জাতীয় সংসদ ও সিনেট গঠনের পক্ষে মত দেন। ৬৩ শতাংশ মানুষ ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট নারী আসন সংরক্ষণের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন। একইভাবে, ৬৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জাতীয় সংসদে বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগের প্রস্তাবে সম্মতি জানান।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) প্রস্তাবিত জাতীয় সনদ চূড়ান্তকরণে জনমত যাচাইয়ের তথ্য বিশ্লেষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

জরিপে দেখা গেছে, আইনসভা সংস্কার বিষয়ে জনমত জানাতে ৬৪ জেলার নাগরিকদের নিয়ে ব্যাপক জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। এতে অংশগ্রহণ করেছেন ১ হাজার ৩৭৩ জন উত্তরদাতা, যার মধ্যে নারী ৩৩৫ জন, পুরুষ ১ হাজার ৩৩ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৫ জন। জরিপটি মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়। এতে মোট ৪০টি প্রশ্ন রাখা হয়, যার উত্তর দেন অংশগ্রহণকারীরা।

এছাড়াও, জরিপ চলাকালে ১৫টি নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ তাদের মতামত জানান। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আইনসভা সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষের মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

জরিপে আরও দেখা গেছে, দেশের আইনসভা কাঠামো সংস্কারে নাগরিকদের উল্লেখযোগ্য অংশ সমর্থন জানিয়েছেন। জরিপ অনুযায়ী, ৬৯ শতাংশ মানুষ ত্রিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা (জাতীয় সংসদ ও সিনেটসহ) গঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

এছাড়া, ৬৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট নারী আসন সংরক্ষণকে সমর্থন করেছেন। ৭১ শতাংশ মানুষ আনুপাতিক পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠনের পক্ষে এবং ৬৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জাতীয় সংসদে বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন।

জরিপের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সংসদীয় ব্যবস্থায় ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা, অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং বিরোধী দলের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করতে নাগরিকরা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন— সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, সুজনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী জিল্লুর রহমান, সদস্য এ কে এম আজাদ প্রমুখ।

কালের আলো/এসআর/এএএন