সবার শরীরই পোড়া, গুরুতর ৩৫ জনকে পাঠিয়েছি বার্নে : চিকিৎসক

প্রকাশিতঃ 3:58 pm | July 21, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হওয়া অন্তত ৩৫ জনকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. অমল কান্তি নাথ। তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে যারা কম গুরুতর, তাদের এই হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। তবে যারা এসেছেন, সবার শরীরেই দগ্ধ হওয়ার চিহ্ন রয়েছে।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজিআই’ মডেলের বিমানটি উত্তরা মাইলস্টোন কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। বিকট শব্দ ও আগুনের গোলায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, অভিভাবকরা ছুটে আসেন সন্তানদের খোঁজে।

উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অমল কান্তি নাথ বলেন, আমাদের এখানে বহু আহতকে আনা হয়েছে। যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক, এমন অন্তত ৩০-৩৫ জনকে আমরা বার্ন ইউনিটে রেফার করেছি। কম গুরুতরদের এখানে চিকিৎসা চলছে। যারা আসছেন, তাদের সবার শরীরেই পোড়ার চিহ্ন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অনেকের হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়েছে। কিছু রোগীর শ্বাসনালিতেও ধোঁয়ার প্রভাব পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুরুতরদের দ্রুত রেফার্ড করায় সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়েছে।

জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় মাইলস্টোন স্কুলের প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চলছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ ও বিস্ফোরণে ছাত্রছাত্রীরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন, কেউ কেউ রুম ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই অভিভাবকরা ছুটে আসেন সন্তানদের খোঁজে। কলেজের সামনে তৈরি হয় উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের সারি।

কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, ঘটনার সময় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলছিল। বিকট শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষকরা দ্রুত শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন। আহত কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

কালের আলো/এসএকে