২২-২৮ জুলাই দেশব্যাপী উদযাপিত হবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ
প্রকাশিতঃ 3:54 pm | July 21, 2025

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:
আগামী ২২-২৮ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ একযোগে কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অর্থাৎ সমগ্র দেশব্যাপী উদযাপিত হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। এবারের প্রতিপাদ্য ‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি’।
সোমবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, এবারের মৎস্য সপ্তাহকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে মৎস্য পদক প্রদান, বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম, র্যালি, আলোচনা, সেমিনার, কর্মশালা, প্রদর্শনী ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
ফরিদা আখতার বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও জাতীয় মৎস্য পদক নীতিমালা অনুযায়ী মৎস্য খাতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭টি ক্ষেত্রে মোট ১৬ জন মৎস্যচাষি, উদ্যোক্তা, বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তি উদ্ভাবক, সম্প্রসারণ প্রতিষ্ঠান, মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীকে জাতীয় মৎস্য পদক ২০২৫ প্রদান করা হবে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হবে। এই পদক মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রদান করবেন।
তিনি বলেন, দেশি মাছের নিরাপদ প্রজনন ও আবাসস্থল নিশ্চিতকরণ, জলাশয়ে টেকসই উৎপাদন অব্যাহত রাখা, মাছের প্রজাতিগত ও কৌলিতাত্ত্বিক (জেনেটিক) বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ, জলজ পরিবেশ ও ইকোসিস্টেম সংরক্ষণ, পুনরুদ্ধার, সমাজভিত্তিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত মৎস্যজীবীর জীবন-জীবিকা রক্ষার্থে এবং উন্নয়নে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে ৬৬৯টি অভয়াশ্রম পরিচালিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও অভয়াশ্রম গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, হাওরে ১০টি স্থায়ী, ইলিশের জন্য ৬টি, হালদা নদীতে ১টি এবং কাপ্তাই হ্রদে ৬টি অভয়াশ্রম গড়ে তোলা হয়েছে, যা মৎস্যজীবীরাই পরিচালনা করেন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, দেশে অভয়াশ্রম পরিচালনা করতে পারলে দেশীয় মাছের প্রাপ্যতা বাড়বে।
ফরিদা আখতার বলেন, মৎস্য সপ্তাহ পালনের মধ্য দিয়ে আমরা মৎস্য খাতের অবদান তুলে ধরতে চাই। আপনারা জানেন, মৎস্য খাত দেশের মোট জিডিপির ২.৫৩ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপির ২২.২৬ শতাংশ। ১২ লাখ নারীসহ প্রায় ২ কোটি অর্থাৎ মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ১২ শতাংশের অধিক মানুষের জীবন ও জীবিকা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমিষের চাহিদা মেটানোর দিক থেকেও মাথাপিছু দৈনিক ৬০ গ্রাম গ্রহণের বিপরীতে মাছের প্রাপ্যতা ৬৭.৮০ গ্রামে উন্নীত হয়েছে। তবুও মাথাপিছু গ্রহণ আরও বাড়াতে হবে।
কালের আলো/এসএকে