সোহরাওয়ার্দীতে ১০ লাখ লোক সমাগমের টার্গেট ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের
প্রকাশিতঃ 5:42 pm | June 26, 2025

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী শনিবার (২৮ জুন) সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ জাতীয় নেতৃবৃন্দের মিলনমেলায় পরিণত হবে বলে জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সেখানে ১০ লাখ লোক সমাগমের টার্গেট করছে দলটি।
শনিবার (২৬ জুন) পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় মহাসমাবেশের প্রস্তুতি, রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ ও এর রাজনৈতিক প্রভাব সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ এ দাবি করেছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ মহাসমাবেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে নানাদিক তুলে ধরেন।
তিনি জানান, মহাসমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, শায়খে চরমোনাইকে আহ্বায়ক করে ২৪ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১২টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। মহাসমাবেশের মাঠ তথা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রশাসনিক অনুমতি সম্পন্ন হয়েছে। স্টেজ নির্মাণসহ সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ের রয়েছে। মহাসমাবেশ এলাকার নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় নিজস্ব বিশাল স্বেচ্ছাসেবক দল ইতোমধ্যে প্রস্তুত রয়েছে।
অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ জানান, এই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদেশের প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিকে জনমানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেশের প্রতিটি এলাকায় পোস্টার, লিফলেট, ফেস্টুন, ব্যানার প্রদর্শিত হয়েছে। এলাকায় এলাকায় গণমিছিল, মোটরসাইকেল শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন থেকেই যানবহন ভাড়া করা হয়েছে। অন্তত ১০ লক্ষাধিক জনতা ২৮ তারিখে ঢাকায় জমায়েত হবে।
দলের মহাসচিব বলেন, আমাদের মহাসমাবেশের প্রচারণায় দেশব্যাপী মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি তাতে আমরা আপ্লুত। তবে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল আমাদের প্রচারকার্য ব্যাহত করার জন্য মুন্সীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মহাসমাবেশের ব্যানার, বিলবোর্ড ছিড়ে ফেলেছে বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নব্য ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ। আমরা এসব কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব এবং দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তারা আমাদের আমন্ত্রণ উৎসাহের সঙ্গে গ্রহণ করছেন। ইনশাআল্লাহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের একটি মিলনমেলা হতে যাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২৮ জুনের মহাসমাবেশ।
এছাড়া তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, গণহত্যার বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরে আমরা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন চাই।
গাজী আতাউর রহমান জাতীয় মহাসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে ঢাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি পুলিশের হাইওয়ে ও ট্রাফিক বিভাগের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, সারাদেশ থেকে কয়েক হাজার গাড়ি শুক্রবার রাতে ঢাকায় প্রবেশে করে শনিবার রাতে বের হবে। ফলে হাইওয়েগুলোতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে নেতাকর্মীদের আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আহ্বান করছি।
মহাসমাবেশের ছবি ও সংবাদ প্রচারে মিডিয়া কর্মীদের সহায়তা কামনা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব এবং লাইভ সম্প্রচারসহ করণীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আহ্বান জানান।
তিনি নিশ্চিত করে বলেন, মিডিয়াকর্মীদের জন্য গোছানো ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা হবে মহাসমাবেশের স্থানে। আপনারা সাচ্ছন্দে কাজ করতে পারবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, যুগ্ম মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব কেএম আতিকুর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, উপদেষ্টা কৃষিবিদ আফতাব উদ্দীন, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) মাওলনা আরিফুল ইসলাম, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক কেএম শরীয়াতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য মুফতী মোস্তফা কামাল।
কালের আলো/এমডিএইচ