ইসরায়েলের পতন অনিবার্য, মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি নিন: হেফাজত
প্রকাশিতঃ 8:51 pm | June 21, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ইসরায়েল পৃথিবীর শান্তি ও মানবতা ধ্বংস করছে, তাদের পতন অনিবার্য বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান। মুসলিম বিশ্বকে আসন্ন মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (২১ জুন) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, চলমান ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে আমরা গণহত্যাকারী দখলদার জায়োনিস্ট ইসরায়েলের ধ্বংস কামনা করি। মধ্যপ্রাচ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মার্কিন শাসকগোষ্ঠী সবসময় ইসরায়েলের সব আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধ সমর্থন দিয়ে গেছে। শুধু তা-ই নয়, বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম ও গোয়েন্দা সহায়তাও দিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলকে। জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েকটি প্রভাবশালী দেশও এতে জড়িত। ইসরায়েল একা নয়। ইসরায়েলের ভাগ্য মিশে আছে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ও ইউরোপের মোড়ল দেশগুলোর পতনের সাথে। ফলে পৃথিবী ক্রমে একটি মহাযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে আমরা মনে করি। সাম্রাজ্যবাদের দাসত্ব, ভোগবাদিতা ও উদাসীনতা পরিহার করে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে আসন্ন সেই মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। আধুনিক যুদ্ধকৌশল ও সামরিক উৎকর্ষ লাভে মুসলিম বিশ্বকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে আরো এগিয়ে যেতে হবে।
হেফাজতের আমির ও মহাসচিব বলেন, যখন ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল, তখন কথিত মানবতার ধ্বজাধারী আমেরিকা নিশ্চুপ দেখে যায়। আর ইসরায়েল প্রতিরোধের শিকার হলেই হুক্কাহুয়া রব তোলে নির্লজ্জ ইউরোপ-আমেরিকা। তাদের মুখোশ খসে পড়ে। এরা কখনো বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, বরং বারবার যুদ্ধ ও ধ্বংস ডেকে এনেছে। মুসলিম বিশ্বকে পদানত করতে চেয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত পরাজয় বরণ করে লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়।
তারা বলেন, মুসলিম বিশ্বের ওপর বারবার যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইরানকে যুদ্ধে নামতে বাধ্য করেছে আমেরিকা ও ইসরায়েল। ইরানকে দমাতে পারলে অন্যান্য প্রভাবশালী মুসলিম দেশেও আগ্রাসন চালানো হতে পারে। সামরিকভাবে শক্তিশালী কোনো মুসলিম রাষ্ট্রকে টিকে থাকতে দিতে চায় না ইউরোপ-আমেরিকা। ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে সেই পুরনো ক্রুসেড আধুনিক রূপে আজও তারা জারি রেখেছে। ইসরায়েলের ধ্বংসের সাথে সাথে তাদের পতনও অনিবার্য ইনশাআল্লাহ।
কালের আলো/এএএন