সিকিমে ভারী বর্ষণ ও ভূমিধস, আটকা প্রায় ১৩০০ পর্যটক

প্রকাশিতঃ 10:07 am | June 02, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিম। বৈরী আবহওয়ায় ও এ সংক্রান্ত নানা কারণে রাজ্যটিতে প্রায় ১৩০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন।

মূলত ভারী বর্ষণের ফলে ভূমিধস, নদীর পানি বৃদ্ধি ও রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আটকা পড়েন। রোববার (১ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর সিকিমে ভারী বর্ষণের ফলে ভূমিধস, নদীর পানি বৃদ্ধি ও রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লাচেন ও লাচুং উপত্যকায় আটকা পড়েছেন অন্তত ১২৭৬ জন দেশি পর্যটক ও দুইজন বিদেশি নাগরিক। এই এলাকাগুলো মাঙ্গান জেলার অন্তর্গত এবং পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

মূলত গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে সিকিমের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এবং নতুন করে ধস নামায় রোববার সেখানে নির্ধারিত উদ্ধার অভিযানও চালানো যায়নি।

এর আগে গত ২৯ মে মুনশিথাং এলাকায় একটি গাড়ি তিস্তা নদীতে পড়ে গেলে নিখোঁজ হন আটজন পর্যটক। এখনও পর্যন্ত তাঁদের খোঁজ মেলেনি।

২০২৩ সালের গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাডের পর ফিদাং এলাকায় নবনির্মিত বেইলি ব্রিজটি ফের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর সিকিমের ডজংগু এলাকার এই সেতুটি স্থানীয়দের জন্য একমাত্র সংযোগ পথ হিসেবে কাজ করত। পানির স্রোতের চাপের কারণে সেতুর পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে এখন শুধু পায়ে হেঁটে চলাচল সম্ভব।

এছাড়া সিকিমের বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং এতে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ার পথে। গত শুক্রবার রাতে ডজংগুর শিপগিয়ের এলাকায় নতুন করে ধস নামে, ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

মাঙ্গান জেলার জেলা পঞ্চায়েতের উপাধ্যক্ষ সোনাম কিপা ভুটিয়া বলেন, “উত্তর সিকিমের রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। পাহাড়ি উঁচু অঞ্চলে এখনও ৭০০ থেকে ৮০০ জন পর্যটক আটকা পড়ে থাকতে পারেন। ফিদাং ব্রিজই ছিল আমাদের ভরসা, সেটাও এখন ঝুঁকিতে।”

মাঙ্গান জেলার সিনিয়র পুলিশ অফিসার সোনাম ডেচু ভুটিয়া বলেন, “রাস্তাঘাট কেটে গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল। এলাকাটি এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে।”

কালের আলো/এমডিএইচ