ভূমি সেবায় অনলাইন সংস্করণ যুক্ত হওয়ায় দৈনিক রাজস্ব জমা ১০-১২ কোটি টাকা
প্রকাশিতঃ 10:00 am | May 26, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ভূমি সেবায় অনলাইন পদ্ধতি চালুর পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা পর্যন্ত রাজস্ব সরকারের কোষাগারে জমা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের সফল প্রয়োগের মাধ্যমে সেবা গ্রহণকারীদের সন্তুষ্টি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভূমি ব্যবস্থার উন্নয়নে ডিজিটাল রূপান্তর এখন সময়ের দাবি। ভূমি সেবা নিশ্চিত করতে হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্ভে ও সেটেলমেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং প্রশিক্ষণের প্রাথমিক ধাপ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সঠিক ও নির্ভুল জরিপ কার্যক্রমের মাধ্যমে ভূমি সেবায় নতুন দিগন্তের সূচনা সম্ভব, আর সে জন্য প্রয়োজন মানসম্মত প্রশিক্ষণ।
রোববার রাজধানীর ভূমি ভবনের সেমিনারকক্ষে ভূমি মেলা, ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় তিনি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভূমি উপদেষ্টা বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, সংস্কার ও অর্জন বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর ও খতিয়ান সেবা শতভাগ অনলাইন করাসহ এ সংক্রান্ত যাবতীয় পেমেন্ট ক্যাশলেস করা হয়েছে। বিদ্যমান প্রযুক্তিনির্ভর অটোমেটেড ভূমিসেবাসমূহ সেবাগ্রহীতাদের নিকট জনপ্রিয় করাসহ ভূমি উন্নয়ন কর আদায় তথা রাজস্ব ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তিন দিনের এই মেলায় ১৯ স্টলে ভূমি সংক্রান্ত সকল সেবা প্রদান করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, গত ১৫ বছর বলা হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ অথচ সেটা ডিজিটাল বাংলাদেশ না হয়ে হয়েছে কিছু ডিজিটাল আইল্যান্ড। আইল্যান্ডগুলোর মধ্যে ইন্টার কানেক্টিভিটি তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সেবা সমূহ ট্রান্সফরমেশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনে বেশ এগিয়ে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিচ্ছিন্ন ডিজিটাল সার্ভিস এখন একটি জায়গায় পাওয়া যাবে, এর মাধ্যমে ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন গতি পাবে। এ ট্রান্সফরমেশনকে দুই ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। একটি হলো মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলোর ট্রান্সফরমেশন দ্বিতীয়টি হচ্ছে নাগরিক সেবা নামে একটি প্লাটফর্ম। এই নাগরিক সেবা নামটি প্রধান উপদেষ্টা নির্ধারণ করেছেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) এ জে এম সালাউদ্দিন নাগরী, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মুহম্মদ ইবরাহিম, আলোচনার শুরুতে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) মো. এমদাদুল হক চৌধুরী ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর উপস্থাপনা করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দিক, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও অন্যান্য অতিথিরা ভূমি জাদুঘর মেলার স্টল পরিদর্শন করেন।
কালের আলো/এমডিএইচ