‘মমতাময়ী’ প্রধানমন্ত্রীর অন্যরকম পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিতঃ 7:05 pm | April 14, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

রমজানে নিয়ম করে ইফতার পাঠান। ঈদে উপহার দেন জামা-কাপড়। খোঁজ খবরও রাখেন নিয়মিত। তবে কড়া নিরাপত্তা ও প্রটোকল ভেঙ্গে সবসময় দেখা করার সুযোগ হয়না। কিন্তু সর্বোপরি তিনি একজন মমতাময়ী মা।

ফলে মাতৃত্বের টানেই সময় সুযোগ মিললেই উৎসব আয়োজনে নিজের কন্যা, জামাতা ও নাতি-পুতিদের ডেকে আনেন। কথা বলেন প্রাণখুলে। সু-পরামর্শ দেন। শেখান জীবন উদযাপনের মন্ত্র ।

রোববার(১৪ এপ্রিল) বাঙালীর শেকড় খোঁজার দিন পহেলা বৈশাখে এভাবেই নিজেকে হাজির করলেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের চার কন্যাকে নিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছেন তিনি।

সরকারি বাসভবন গণভবনে অসাম্প্রদায়িক এ উৎসবকে ঘিরে এক মিলন মেলার আয়োজন করা হয়। সেখানেই নিমতলী ট্রাজেডির ঘটনায় তিন সন্তানের মা হিসেবে দায়িত্ব নেয়া প্রধানমন্ত্রী তাদেরকেও এ উৎসবে শরীক করেন।

নিজের কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও সজীব ওয়াজেদ জয় ছাড়াও এ দিনটিতে তিন কন্যা উম্মে ফারওয়া আক্তার রুনা, সকিনা আক্তার রত্না ও আসমা আক্তার শান্তা দিনটি কাটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। নিজেদের স্বামী, সন্তানদের নিয়ে ছবিও তুলেছেন। এ যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মমতাময়ী, ভালবাসার এক অনন্য প্রতিচ্ছবি।

২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নবাব কাটরার নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে প্রাণ হারান ১২৪ জন। যাদের মধ্যে ছিলেন রুনা, রত্না ও শান্তার মা-বাবা ও স্বজনেরা। সব হারিয়ে তারা হয়েছিলেন নি:স্ব।

কিন্তু সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের অভিবাবকত্বের দায়িত্ব নেন ও সন্তান হিসেবে পরিচয় দেন। এছাড়াও মা হিসেবে আগে থেকে ঠিক করা পাত্রদের সাথেই তাদের বিয়ে দেন।

গণভবন সূত্র জানায়, বিশেষ দিনগুলোতে প্রধানমন্ত্রী তার এই তিন কন্যার সাথে দেখা করে কুশল বিনিময় করেন। এ বিষয়ে সব সময়ই প্রধানমন্ত্রীর একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মতই তাদেরকে পরম মমতায় আগলে রেখেছেন।

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দেশের প্রধানমন্ত্রীই নন, একজন মমতাময়ী জননীও, বার বার এমন প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। ক’দিন আগে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী দিনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজের মায়াবী হাতে মুছে দিয়েছিলেন মেয়েদের চোখের পানি।

গলায় পদক পরিয়ে বুকে টেনে নিয়েছিলেন। ওদের দিয়েছিলেন মায়ের স্নেহ। নিজের আদর ও ভালোবাসায় কচি-কাঁচাদের ভুলিয়ে দিয়েছিলেন ট্রফি না পাওয়ার বেদনা।

নতুন বছরের নতুন দিনেও নিজের চার কন্যাকে নিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে আবারো নিজের স্নেহময়ী দৃশ্যেরই অবতারণা করলেন বঙ্গকন্যা।

এর আগে দেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মায়ের মমতা ও বোনের ভালোবাসা দিয়ে খাবার ভাগ করে খেয়ে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তিনি শুধু সরকার প্রধান বা শাসক নন- মানবতারও নেত্রী। এ কারণেই যুক্তরাজ্যের টেলিভিশন ‘চ্যানেল ফোর’ তাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধিতে ভূষিত করে।

কালের আলো/এএ /এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email