১৬টি মেট্রো স্টেশনে ২২টি টিকিট কাটার ভেন্ডিং মেশিন অকার্যকর 

প্রকাশিতঃ 6:57 pm | April 09, 2025

কালের আলো রিপোর্ট:

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটের ১৬টি মেট্রো স্টেশনে প্রায় ২২টি টিকিট কাটার ভেন্ডিং মেশিন অকার্যকর থাকে বেশিরভাগ সময়। এতে যাত্রীদের চাপে টিকিট কাটার লাইন যেমন দীর্ঘ হয়; তেমনি ভোগান্তিও পোহায় তারা।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সরেজমিনে বিভিন্ন স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, মেট্রো স্টেশনের মতিঝিল স্টেশনের ৬টি টিকিট কাটার ভেন্ডিং মেশিনের মধ্যে সচল ৫টি, বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৬টি মেশিনের মধ্যে ৪টি সচল, শাহবাগ স্টেশনের ৬টির মধ্যে ৫টি সচল, উত্তরা সেন্টারের ৪টি মেশিনের মধ্যে ২টি সচল, মিরপুর-১১ স্টেশনের ৪টি মেশিনের মধ্যে ৩টি সচল, উত্তরা উত্তরের ৬টি মেশিনের মধ্যে ৫টি সচল। এছাড়া টিএসসি, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বিজয় সরণী, আগাঁরগাও, শেওড়াপারা, কাজীপাড়া স্টেশনের গড়ে ১-২টি করে ভেন্ডিং মেশিন অকার্যকর হয়ে থাকে বেশিরভাগ সময়।

কারওয়ান বাজারে নিয়মিত অফিস করেন জুলফিকার ইসলাম। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন হলো কারওয়ান বাজার। কিন্তু এখানকার মোট ৬টি ভেন্ডিং মেশিনের মধ্যে বেশিরভাগ সময় ১-২টি মেশিন কাজ করে না। ফলে অন্য মেশিনের ওপর চাপ পড়ে এবং টিকিট কাটার লাইন দীর্ঘ হয়। এই ব্যাপারে কল বাটনে চাপলে অথবা স্টেশনে কর্তৃপক্ষের কোনো ব্যক্তির কাছে অসুবিধার ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা উত্তর দিতে পারেন না। এই ভোগান্তির সমাধান চাই।

মিরপুর থেকে নিয়মিত মতিঝিলে যাতায়াত করা আলতাফ হোসেন বলেন, মিরপুর-১০ স্টেশনের যাত্রীর চাপ সব সময়ই থাকে। তবে এখানে টিকিট কাটার সময় দেখা যায় ভেন্ডিং মেশিন কোনো একটা অকার্যকর হয়ে আছে। আবার অনেক সময় টাকার নোট নিয়ে আর টিকিট বের হচ্ছে না।

এ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পরিচালক এ কে এম খায়রুল আলম বলেন, ভেন্ডিং মেশিন হলো যান্ত্রিক একটি ব্যাপার নানা কারণে বিভিন্ন সময় ত্রুটি দেখা দিতে পারে। তবে সেটি দ্রুত সমাধানের জন্য আমাদের লোকবল আছে এবং তারা নিয়মিত কাজ করে।

অন্যদিকে, মেট্রোর টিকিটের মাধ্যমে সবাই স্বয়ংক্রিয় পাঞ্চিং মেশিন দিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করেন। কিন্তু ট্রেন থেকে নামার পর বের হওয়ার সময় স্বয়ংক্রিয় গেটে ভিড় লেগেই থাকে। তবে এই গেটে দ্রুত টিকিট পাঞ্চ ও বিভিন্ন ত্রুটির কারণে হুট করেই অকার্যকর হয়ে পড়ে। এতে যাত্রীদের স্টেশন থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

রানা ইসলাম নামের একজন যাত্রী বলেন, নিয়মিত আমি এমআরটি পাশ ব্যবহার করে মেট্রোতে চলাচল করি। কিন্তু মাঝে মাঝে স্বয়ংক্রিয় গেট অকার্যকর হয়ে যায়। অনেক সময় যাত্রীদের দ্রুত বের হওয়ার তাড়ায় টিকিট পাঞ্চ করতে একটু ত্রুটি হলে এটি বেশি হয়। কিন্তু ট্রেন থেকে নামার পর গেটে প্রচুর চাপ থাকে ফলে এমন ত্রুটি দেখা দিলে সবারই ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পরিচালক এ কে এম খায়রুল আলম বলেন, যারা নিয়মিত মেট্রোরেলে চলাচল করেন তাদের টিকিট কাটার সময় কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে যারা ঢাকায় ঘুরতে আসেন বা প্রথম টিকিট কাটেন তারা অনেক সময় মেশিন ভুলভাবে ব্যাবহার বা ত্রুটিপূর্ণ ব্যবহারের ফলে ভেন্ডিং মেশিনে সমস্যা হয়। তবে এসব দেখার জন্য আমাদের লোকবল আছে, বেশি সময় যাত্রীদের ভোগান্তি হওয়ার কথা নয়।

কালের আলো/এমডিএইচ