প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-আইজিপি

প্রকাশিতঃ 2:26 am | March 26, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে, এ জীবন পুণ্য করো দহন-দানে’ গানের সঙ্গে সঙ্গে হলো প্রদীপ প্রজ্বলন।

রাত তখন ১২টা ১ মিনিট। বেদীর দিকে এগিয়ে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার)। গভীরভাবে স্মরণ করলেন শহীদদের। সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অন্য শীর্ষ কর্মকর্তারাও। এরপর সবার কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত। শ্রদ্ধাবনত চিত্তে বীর শহীদদের প্রতি তারা নিবেদন করলেন শ্রদ্ধার্ঘ্য।

এসব চিত্রপট সোমবার (২৫ মার্চ) রাতের। রাজারবাগ পুলিশ লাইনের বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বেদিতে আয়োজিত জাতীয় গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতার প্রথম প্রহর উদযাপন উপলক্ষে এই প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এ আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সবাই বেদিতে দাঁড়িয়ে প্রদীপ প্রজ্বলন করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেম স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের বড় একটি প্রেরণা ছিল। ২৫ মার্চ রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে প্রথম তারাই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাতেই আজ এই আয়োজন।’

রাজারবাগ পুলিশ লাইনে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাদের মধ্যে এখনও অনেক জীবিত আছেন উল্লেখ করে তাদেরও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আক্রমণ চালায়। ওই আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইনের তৎকালীন বাঙালি সদস্যরা। মুক্তিযুদ্ধে এটিই ছিল প্রথম প্রতিরোধ। এই রাতে পাক-হানাদার বাহিনীর সঙ্গে লড়াইকালে সারাদেশে ২৪ জন পুলিশ সদস্য শহীদ হন। এর মধ্যে ২২ জন রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে, একজন সিলেট জেলায় ও একজন রাজশাহী জেলায় শহীদ হন।

কালের আলো/ওএইচ