স্যালুট বিপ্লব ভাই
প্রকাশিতঃ 4:24 pm | February 19, 2018

শরিফুল হাসান:
রেঞ্জ ডিআইজিরা ওসি পদায়নে ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা করে ঘুষ নেন। আবার পুলিশ সুপাররা এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল পদায়নে ঘুষ নেন। ফলে এ ঘুষের টাকা উঠাতে গিয়ে ওসি থেকে শুরু করে নিচের পদের সদস্যরা মাদক বাণিজ্যসহ নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন। ফলে মাদকবাণিজ্য বন্ধ করা যায় না। মাদক বাণিজ্য বন্ধ করতে হলে ওসি থেকে নিম্নপদে কর্মরতদের পদায়নে ঘুষ লেনদেন বন্ধ করতে হবে।
পুলিশে ঘুষ লেনদেন হয় আমরা সবাই কম বেশি জানি। কিন্তু সেই কথাটি যখন সাহস করে একজন সৎ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তখন সত্যি তার প্রশংসা করতে হয়। ধন্যবাদ ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি Biplob Sarker। বাংলাদেশের সব পেশাই এখন নষ্ট মানুষ। আবার সব পেশায় আপনাদের মতো কিছু মানুষ আছে বলেই দেশটা এখনো টিকে আছে।
জানি পুলিশের অনেকেই আপনাকে বলতে পারেন আপনি তাদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। কিন্তু আমি বলবো পুলিশ বাহিনীর প্রতি আপনার প্রচণ্ড ভালোবাসা আছে বলেই আপনি সাহস করে সত্য কথাটা উচ্চারণ করেছেন। আপনি আসলে পুলিশের মঙ্গল চান।
মনে আছে সাংবাদিক হিসেবে আমি বারবার এই পেশার সংকটের কথা বলতাম। যখন যেখানে কাজ করেছি ভালোবাসা থেকে সমালোচনাগুলো করেছি। এটাই পেশাদারিত্ব। এটাই সততা।
বিপ্লব ভাই আপনি বলেছেন, কনস্টেবল পদে নিয়োগেও পুলিশ সুপাররা মোটা অঙ্কের অর্থ গ্রহণ করেন। ফলে শুরুতেই অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে একজন পুলিশ সদস্য চাকরিতে যোগ দেন। এ ধরনের অবৈধ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনি আইজিপির মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
আমি জানি না সমস্যার সমাধান হবে কী না। জানি না ঘুষ বানিজ্য বন্ধ হবে কী না। তবে এই দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আপনাকে একটা স্যালুট দিতে চাই। স্যালুট বিপ্লব ভাই।
লেখক: হেড অব মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম, ব্র্যাক
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)