আত্মবিশ্বাসী পিজিআর’র অফুরান অনুপ্রেরণার উৎস প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 11:27 pm | July 07, 2024

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

দেখতে দেখতে ৪৯ বছর পূর্ণ করেছে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও স্নেহের স্পর্শে হয়ে ওঠেছে যুগোপযোগী ও আধুনিক। বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর স্নেহাশিস অনুভূতি অনুভব করেন পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খালেদ কামাল। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘সকল গার্ড সদস্য আজ আত্মবিশ্বাসী। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে নিজেদের মানসিক ও পেশাগত উন্নয়নে সর্বাত্মকভাবে সচেষ্ট আছে।’

রোববার (০৭ জুলাই) ঢাকা সেনানিবাসস্থ পিজিআর সদর দপ্তরে ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ণিল আয়োজনের দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এমন দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা জানান। অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এ সময় নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

গভীর শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ, গৌরবান্বিত ও অনুপ্রাণিত
পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খালেদ কামাল নিজের বক্তব্যের শুরুতেই বিনম্রচিত্তে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, পিজিআর এর প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ৭৫’র ১৫ আগস্ট কালো রাতে ঘাতকদের নির্মম বুলেটে শাহাদাতবরণকারী মহিয়সী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ সকল শহীদদের।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই জাতির পিতার প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় পিজিআর এর সূচনা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দৃপ্ত হস্তে গঠিত পিজিআর কালের পরিক্রমায় রাষ্ট্রীয় ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়, প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আজ একটি সুশৃঙ্খল ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। যার সদস্যরা প্রশ্নাতীত আনুগত্য, গভীর দেশপ্রেম ও প্রশংসনীয় পেশাগত দক্ষতা ও উচ্চ কর্তব্যবোধ নিয়ে দায়িত্ব পালনে সর্বস্তরে প্রশংসিত।’

পিজিআর কমান্ডার বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি এই জাতিকে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছেন আমরা পারি। আপনি বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছেন। আপনি বাংলাদেশীদের, আমাদের আস্থার স্থল ও অনুপ্রেরণার উৎস। তাই আপনার উপস্থিতি আমাদের করেছে গৌরবান্বিত ও অনুপ্রাণিত।’

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের প্রতি কৃতজ্ঞতা
পিজিআর কমান্ডার বলেন, ‘পিজিআর এর সকল দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মহোদয়কে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। একইভাবে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধানকে যিনি অকৃপণ হাতে আমাদের সর্বোতভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন এবং সর্বদা আমাদের কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রদান করছেন।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খালেদ কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে আজ উন্নয়নের রোল মডেল। ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জন করে এখন দেশকে প্রস্তুত করেছে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে। এই অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আপনার নিবিড় পৃষ্ঠপোষকতা ও অগ্রগণ্যতা পাচ্ছে। ২০৪১ সালের লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পিজিআর এর সাংগঠনিক কাঠামো, সরঞ্জামাদি ও প্রশিক্ষণে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়া চলমান।’

কালের আলো/এমএএএমকে