সেনাপ্রধানকে বিদায় সংবর্ধনা, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ড. শফিউদ্দিনের

প্রকাশিতঃ 7:46 pm | June 16, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ড.এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি এবং কোর অব মিলিটারি পুলিশ।

রবিবার (১৬ জুন) চট্টগ্রাম সেনানিবাসস্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে সেনাবাহিনীর ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট, রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি এবং কোর অব মিলিটারি পুলিশের বিদায়ী কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে তাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি এবং কোর অব মিলিটারি পুলিশের সেনাসদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল সামরিক রীতিতে কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে।

আনুষ্ঠানিকতা শেষে জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে তাঁর বিদায়ী বক্তব্য রাখেন।

সেনাবাহিনী প্রধান তাঁর মূল্যবান বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি আধুনিক এবং চৌকস বাহিনী হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এসময় জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে গৃহিত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন।

এছাড়াও সেনাপ্রধান কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।

আইএসপিআর জানিয়েছে, তিনি গত নভেম্বর ২০২১ তারিখ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, মার্চ ২০২২ তারিখ রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি এবং অক্টোবর ২০২০ তারিখে কোর অব মিলিটারি পুলিশের কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সেনাসদরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি এবং মিলিটারি পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাগণসহ ২৪ পদাতিক ডিভিশনের উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

এর পূর্বে, সেনাবাহিনী প্রধান দিঘীনালা জোন সদরদপ্তরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম। এসময় সেনাবাহিনী প্রধান দীঘিনালা জোনের সামরিক কর্মকর্তাগণ, জেসিও এবং অন্যান্য পদবীর সেনা সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং সেখানে একটি গাছের চারা রোপন করেন।

কালের আলো/এসবিএম/এএএ