বহিঃশত্রুর আক্রমণ হলে প্রতিহত করব: সেনাপ্রধান

প্রকাশিতঃ 6:37 pm | June 15, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ড. এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের দেশে যদি বহিঃশত্রু আক্রমণ করে সেটাকে আমরা প্রতিহত করব। বর্ডার ভায়োলেশন হচ্ছে তার জন্য বর্ডারগার্ড, কোস্ট গার্ড আছে, তারা বিষয়টা তদারকি করছে। আমরা সেনাবাহিনী প্রস্তুত আছি, এর চেয়ে লেভেল অন্যদিকে গেলে সমুচিত ব্যবস্থা আমরা নেব।’

শনিবার (১৫ জুন দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে শেখ রাসেল সেনানিবাসে একটি ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ ও মায়ানমার বর্ডারে উত্তেজনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন।

এসএম শফিউদ্দিন বলেন, ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০ সাল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আধুনিকায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। তারই প্রতিফলন ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রদত্ত দায়িত্ব দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। সেই কাজে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় প্রণীত হয় ফোর্সেস গোল-২০৩০। আজকের এই পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আরেক ধাপ বাস্তবায়িত হলো।

এর আগে, পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান তার বক্তব্যে সেনাবাহিনীর নতুন ইউনিটের সকল সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এ সময় তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং বীর শহীদদের যাঁদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা। পরে সেনাবাহিনীর প্রধান শেখ রাসেল সেনানিবাস চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।

এ সময় চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ একেএম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহমেদ, পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলমসহ অনুষ্ঠানে সেনাসদরের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা।

এর আগে সেনাপ্রধান শেখ হাসিনা সেনানিবাসে পৌঁছালে জিওসি ৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার বরিশাল এরিয়া তাঁকে স্বাগত জানান। পরবর্তীতে, সেনাবাহিনী প্রধান বরিশাল এরিয়ার সকল পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে বিদায়ী দরবার গ্রহণ এবং মতবিনিময় করেন। দরবার শেষে, শেখ হাসিনা সেনানিবাসের সকল পদবির কর্মকর্তাগণ, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যগণ সামরিক রীতিতে সেনাবাহিনীর প্রধানকে বিদায়ী সংবর্ধনা জানায়।

আইএসপিআর জানিয়েছে, শেখ রাসেল সেনানিবাসে ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন শেষে সেনাবাহিনী প্রধান মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে গমন করেন এবং নড়াইলের লোহাগড়ায় তিনি ট্রাস্ট ব্যাংকের একটি শাখা উদ্বোধন করেন।

পরবর্তীতে তিনি মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেন এবং একটি গাছের চারা রোপণ করেন। এ সময় ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের কর্মকর্তাগণ, জেসিও ও অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্যগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/বিএস/এমএম