দেশবাসী স্বস্তি-উৎসাহ নিয়ে ঈদ-বৈশাখ পালন করেছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 5:03 pm | April 15, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ছিল। দেশবাসী স্বস্তি ও উৎসাহ নিয়ে ঈদ ও নববর্ষ পালন করেছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘সীমিত সামর্থ্য নিয়ে দেশে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ফলাফল বা কৃতিত্বলাভের জন্য কাজ করি না, দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করে চলছি।’

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী কয়েকটি বছর আমাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় আমাদের বাণিজ্যকে আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিতে চাই।’

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার ঈদ ও পয়লা বৈশাখে সকলের মধ্যে একটা স্বস্তি দেখতে পেরেছি। উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে সকলে এসব অনুষ্ঠান উদযাপন করেছে।

বিএনপিকে নিয়েও সমালোচনা করেন প্রতিমন্ত্রী। সম্প্রতি দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ মন্তব্য করেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঈদ ও পয়লা বৈশাখের আনন্দ সাধারণ মানুষের চোখের জলে ভেসে গেছে।

টিটুর কাছে এ সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে পাঁচদিন আমি আমার গ্রামে ছিলাম। মাঠে ঘাটে চলেছি; সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেছি। সকলের মধ্যে একটা স্বস্তি দেখতে পেরেছি। সবাই উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন। এছাড়া এবারের নববর্ষ শুধু ঢাকা-শহরে নয় গ্রামেও যেভাবে উদযাপন হয়েছে, মেলা হয়েছে, সেখানে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখেছি৷ রাজনৈতিকভাবে কেউ কিছু বলে থাকলে সেখানে উত্তর না দেওয়াটাই ভালো। উত্তর দেওয়ার কিছু নাই; জনগণই ভালো মন্দ বলতে পারবে। তারা অস্তিত্বে আছে কিনা, নাকি স্বস্তিতে রয়েছে। তবে আমি সকলের মধ্যেই উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ঈদ এবং নববর্ষ উদযাপন করতে দেখেছি। এটাই আমার অভিজ্ঞতা। আমার মনে হয়, উনি রাজনৈতিকভাবে এটা বলেছেন, যার উত্তর দেওয়ার কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিল, রমজানে মানুষকে স্বস্তি দেওয়া। সেটা রমজানের পরেও কি অব্যাহত থাকবে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু রমজান না, সারা বছর নিরবচ্ছিন্ন ভাবে নিত্যপণ্য সরবরাহের জন্য কাজ করে যাব। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ আমাদের লোকাল সাপ্লাই চেইনগুলো শক্তিশালী করব। আমাদের রমজানটা ব্যাপক চ্যালেঞ্জ ছিল- সব কিছুর চাহিদা তিনগুণ বেড়ে যায়। এটা আমার জন্য বড় অভিজ্ঞতাও। আমরা দিল্লি থেকে পেঁয়াজ এনেছি। সেই সাথে আমাদের তেল চিনিসহ নিত্য যে সকল পণ্য সকল পণ্য আমাদের পর্যাপ্ত ছিল। একই সাথে দাম ঊর্ধ্বমুখী নয় নিম্নমুখী ছিল। এসব চ্যালেঞ্জ পার হয়ে এসেছি।

চালের বস্তায় দাম লিখে দেওয়ার বিষয়ে কতদূর কি করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় সঠিক উত্তর দিতে পারবে। সেই সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয় আরও ভালো উত্তর দিতে পারবে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছু থাকলে আমরা সমন্বয় করবো। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ের যার যার কাজ করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো বাজার ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা। বিশেষ করে আমদানি করে যে সব জিনিস আনা হয়। আর লোকাল কৃষি পণ্য ও খাদ্য এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বললে ভালো হবে।

পহেলা বৈশাখ থেকে এটি কার্যকরের কথা বলা হয়েছিল, সে বিষয়ে কী করবেন জানতে চাইলে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি ইস্যু করেছে। তারপর কি হয়েছে তাদের সাথে কো-অরডিনেশন মিটিং করে বলতে পারবো।

গ্রামে বেগুন পাঁচ টাকা, সেটা শহরে এসে ৭০ টাকা হয় এ বিষয়ে কী কাজ করছেন, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রশ্নটি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ভালো উত্তর দিতে পারবে। আমরা যেটা পারি আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনার যে অংশটুকু আমাদের বিশেষ করে আমদানি ও পাইকারি বাজার। রমজান মাসে যেভাবে কাজ করেছি আমরা বারো মাস একইভাবে কাজ করবো। তেল, চিনিসহ আমদানি বাজারে যেসব জিনিস রয়েছে সেগুলোতেই আমাদের নজরদারি থাকবে এবং ভোক্তা অধিকার অন্যান্য বিষয়গুলোও আমরা দেখবো।

কালের আলো/বিএস/এনএএ