নানা আয়োজনে বিজিবিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

প্রকাশিতঃ 6:55 pm | March 26, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার (২৬ মার্চ) সকালে পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরসহ সারাদেশে বিজিবি’র সকল ইউনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী অংশগ্রহণ করেন। এরপর বিজিবি মহাপরিচালক পিলখানাস্থ ‘সীমান্ত গৌরব’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বিজিবি’র একটি সুসজ্জিত চৌকস দল ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।

বিজিবি সদরদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে বিজিবি’র বিভিন্ন স্থাপনায় ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সকলের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

দিবসের অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে যোহরের নামাজের পর পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরসহ সারাদেশে বিজিবি’র সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের মসজিদে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও অগ্রগতি, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদতবরণকারী সদস্যসহ মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার শান্তি এবং বিজিবি’র উত্তরোত্তর অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিজিবি’র সকল রিজিয়িন, সেক্টর ও ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার১৮০৭০ জন দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এছাড়া মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শিশুদের জন্য বিজিবি জাদুঘর উম্মুক্ত রাখা হয় এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজিবি বাদকদল কর্তৃক বাদ্য পরিবেশন করা হয়।

এদিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বেনাপোল-পেট্রাপোল, বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী ও আখাউড়া-আগরতলা আইসিপিতে বিজিবি-বিএসএফ কর্তৃক জমকালো ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। মূলতঃ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে যে বন্ধুপ্রতীম ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়েছিলো সেই ভাতৃত্ববোধ সম্প্রসারণের পাশাপাশি বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নৃশংসতম গণহত্যাকান্ডে নিহত শহীদদের স্মরণ ও তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করে যোহরের নামাজের পর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং জাতীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিজিবি সদর দপ্তরসহ সকল রিজিয়ন, সেক্টর এবং ইউনিটে রাত ১১.০০ ঘটিকা থেকে ১১.০১ ঘটিকা পর্যন্ত ০১ মিনিট প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ কর্মসূচী পালন করা হয়।

কালের আলো/ডিএস/এমএম