প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চান আতিকুল ইসলাম

প্রকাশিতঃ 5:53 pm | January 29, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সকল রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও জনগণকে নিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই। আমি বিজিএমইএ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই নির্বাচিত হয়েছি। তাই আমি চাই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। নির্বাচনে জনগণ যাকে ভোট দেবে, তাকেই মেনে নেবো। যদি নির্বাচিত হই, যেদিন দায়িত্ব নেব সেদিন থেকেই সততা, সচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবো।

মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে মনোনয়ন জমা দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো দল থেকে মনোনয়ন পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আমি মনোনয়ন পেয়েছি। আমি যদি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারি, ঢাকা উত্তরে আনিস ভাই যে মাপে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই মাপে থাকার জন্য পারলে তার ওপরে যাওয়ার চেষ্টা করবো। তার থেকে নিচে গেলে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।’

আতিকুল ইসলামের পাঁচটি মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবক হয়েছেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. তাফাজ্জল ইসলাম, সংসদ সদস্য এ কে এম রহমাতুল্লাহ, জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও এসবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। আর সমর্থক হয়েছেন যথাক্রমে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, দৈনিক জাগরণের সম্পাদক আবেদ খান, আতিকুল ইসলামের সহধর্মীনি ডা. শায়লা শগুফতা ইসলাম ও প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হক।

আনিসুল হকের মতো আতিকুল ইসলামও ব্যবসায়িক নেতা। আনিসুল হকের নেওয়া নগর প্রকল্পের বিষয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচিত হলে আমরা এটি চালু করবো। এতে সিটি করপোরেশন নয়, জনগণই সমস্যার কথা জানাতে পারবে। ফটো তুলে আপলোড করে জানাতে পারবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসি’র ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ জানুয়ারি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম বলেন, এ পর্যন্ত ২৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আর জমা দিয়েছেন কেবল আতিকুল ইসলাম।

অন্যদিকে উত্তর সিটির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩০টি কাউন্সিলর পদে ১৯৭ জন মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে ১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আবুল কাসেম আরো বলেন, যেসব পোস্টার লিফলেট আছে সেগুলো যেন সরিয়ে ফেলা হয়। অন্যথায় আমরা অচিরেই মাঠে নামবো। প্রার্থীরা যদি আগাম প্রচার সামগ্রী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সরিয়ে না ফেলেন, তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালের আলো/এএ/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email