দেড় ঘণ্টায় শেষ ৬০০ টাকার ১৩০ কেজি গরুর মাংস

প্রকাশিতঃ 7:03 pm | March 13, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

মাত্র দেড় ঘণ্টায় ৬০০ টাকা কেজি দরের ১৩০ কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম্যমাণ একটি বিক্রয় কেন্দ্রে। এসব বিক্রয় কেন্দ্রে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। একই সময়ে বিক্রি হয়েছে খাসির মাংস, ব্রয়লার মুরগী, দুধ ও ডিম।

বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র। সামনে কয়েকজন ক্রেতা। সুলভ মূল্যের পণ্য নিতে খুব একটা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না কাউকেই।

ভ্রাম্যমাণ বিক্র‍য় কেন্দ্রটির ক্যাশিয়ার হাসিবুর রহমান শান্ত জানান, আজ তারা গরুর মাংস ১৩০ কেজি, খাসির মাংস ১২০ কেজি, ব্রয়লার মুরগী ১৪০ কেজি, দুধ ২০০ লিটার এবং ডিম ২৭০০ পিস বা ২২৫ ডজন নিয়ে এসেছেন।

ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের বিক্রি শুরু হয়েছে বেলা ১১টায়। দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে ১৩০ কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়ে গেছে।

হাসিবুর রহমান শান্ত বলেন, গতকাল গরুর মাংস ছিল ১৪০ কেজি। সেটাও প্রায় একই সময়ে শেষ হয়েছে। গরুর মাংসের চাহিদা তুলনামূলক অনেক বেশি।

দায়িত্বপ্রাপ্ত এই কর্মী আরও জানান, যেকোনো ক্রেতা তার পছন্দমতো বাজার করতে পারবেন এই ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র থেকে।

উল্লেখ্য, পবিত্র রমজান উপলক্ষে সুলভ মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রি করছে সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। রাজধানীর ৩০টি স্থানে এসব খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করছে মন্ত্রণালয়টি।

মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া দামে অর্থাৎ ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস, ৯০০ টাকায় খাসির মাংস, ড্রেসিং করা ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকায়, ৮০ টাকা লিটার দরে গরুর দুধ ও ১১০ টাকা ডজন দরে ডিম বিক্রি হচ্ছে।

প্রথম রমজান থেকে শুরু হয়ে ২৮ রমজান পর্যন্ত এ ভ্রাম্যমাণ বিপণন ব্যবস্থা রাজধানী ঢাকার ২৫টি স্থানে পরিচালিত হচ্ছে। একই সঙ্গে স্থায়ী বাজারে আরও ৫টি স্থানসহ মোট ৩০টি পয়েন্টে এই বিক্রয় ব্যবস্থা চালু আছে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রগুলো হলো- (১) নতুনবাজার (বাড্ডা), (২) কড়াইল বস্তি (বনানী), (৩) খামারবাড়ী (ফার্মগেট), (৪) আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), (৫) গাবতলী, (৬) দিয়াবাড়ী (উত্তরা), (৭) জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), (৮) ষাটফুট রোড (মিরপুর), (৯) খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), (১০) সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), (১১) সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), (১২) নয়া বাজার (পুরান ঢাকা), (১৩) রামপুরা, (১৪) কালশী (মিরপুর), (১৫) যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), (১৬) বসিলা (মোহাম্মদপুর), (১৭) হাজারীবাগ (শিকশন), (১৮) লুকাস (নাখালপাড়া), (১৯) আরামবাগ (মতিঝিল), (২০) কামরাঙ্গীর চর, (২১) মিরপুর-১০, (২২) কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), (২৩) তেজগাঁও, (২৪) পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার), (২৫) কাকরাইল৷

স্থায়ী বাজার হলো- (২৬) মিরপুর শাহ আলি বাজার, (২৭) মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট (২৮) নতুন বাজার (১০০ ফুট), (২৯) কমলাপুর, (৩০) কাজি আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)।

কালের আলো/এমএইচ/এবি