ঘুমধুম সীমান্তে একযোগে কাজ করছে পুলিশ-বিজিবি: আইজিপি

প্রকাশিতঃ 6:05 pm | February 06, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা দেশ ও জনগণের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালনে কখনো কুণ্ঠাবোধ করে না। পুলিশ সদস্যদের দেশপ্রেমিক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তারা আগামীতেও কর্তব্যে অবিচল থেকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে পুলিশ একযোগে কাজ করছে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে গুরুতর আহত রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্য রাজ্জাককে দেখতে এসে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত আব্দুর রাজ্জাক গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা সমাবেশস্থলের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেখানে বিএনপি কর্মীরা পাইপ, লাঠিসোটা দিয়ে নৃশংসভাবে তার মাথায় আঘাত করে। তাৎক্ষণিক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১২ দিন আইসিইউতে চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ভারতের দিল্লি অ্যাপোলো হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি ২০ দিন আইসিইউতে ছিলেন। দুই মাস দুই দিন চিকিৎসার পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে গত ১১ জানুয়ারি তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। তার সুচিকিৎসার জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সীমান্ত এলাকায় মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘কে মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে, তা এখনও সুনিশ্চিত না। এ ঘটনায় আমরা একটা মামলা নিয়েছি, আসামি অজ্ঞাত। তদন্তে যাদের নাম আসবে, পরবর্তী সময়ে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি কী নির্দেশনা আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। জেলা পুলিশসহ এপিবিএন সতর্ক আছে। সীমান্তে বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। তাদের দায়িত্ব পালনে যে সহযোগিতা চাচ্ছে, আমরা সে সহযোগিতা দিচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থা মিলে যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এসব এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানোসহ টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা দায়িত্ব পালন করছে।’

কালের আলো/ডিএস/এমএম