বুধবার খুলছে বন্ধ হওয়া সব পোশাক কারখানা
প্রকাশিতঃ 12:37 pm | November 15, 2023
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:
মজুরি বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের জেরে বন্ধ হওয়া পোশাক কারখানা বুধবার (১৫ নভেম্বর) খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তবে, রাজধানীর মিরপুরের কয়েকটি কারখানা খুলে দেওয়ার বিষয়ে এখনো অনিশ্চয়তা কাটেনি বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
বিজিএমইএর দাবি, পোশাক শিল্প অধ্যুষিত সব এলাকায় শান্তিপূর্ণ কর্মপরিবেশ বিরাজ করছে। তাই বন্ধ হওয়া কারখানার সংশ্লিষ্ট এলাকার শ্রমিক, শ্রমিক সংগঠন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন ও শিল্প পুলিশের সহযোগিতায় কারখানা খুলে দেওয়া হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি জানান, কাজে ফেরার আহ্বানে আশুলিয়া এলাকার সব বন্ধ কারখানার শ্রমিকরা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। কাজ করার আগ্রহ জানিয়ে শ্রমিকরা মালিকদের আশ্বস্ত করেছে। ফলে বুধবার আশুলিয়ার সবগুলো বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার কাশিমপুর ও কোনাবাড়ী এলাকার বন্ধ তিনটি পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়। ফলে বর্তমানে কাশিমপুর ও কোনাবাড়ী এলাকার সব কারখানায় স্বাভাবিকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে।
ফারুক হাসান জানান, মিরপুরের কিছু পোশাক কারখানা বন্ধ আছে। এই কারখানাগুলোতে আলোচনা চলছে। শ্রমিকরা কাজ করতে চাইলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ, পোশাক কারখানাসহ সব ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দিন। এলাকায় সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করুন। সর্বোপরি, জানমালের নিরাপত্তায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। তবে, এতে করে কোনো শ্রমিক ভাই-বোন বা কর্মচারী এবং মালিক যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন। এ বিষয়ে সতর্ক থেকে কাজ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
শ্রমিক সংগঠনগুলোর দাবি ছিল ন্যূনতম মজুরি দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু গত ৭ নভেম্বর পোশাক খাতের ন্যূনতম মাসিক ১২ হাজার ৫০০ টাকা মজুরি ঘোষণা করে সরকার গঠিত মজুরি বোর্ড। তবে ঘোষিত মজুরিকে প্রত্যাখ্যান করে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন। ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবিতে আন্দোলনে থাকা শ্রমিক সংগঠনের আন্দোলন আরও বেগবান করা হয়।
এ সময় বেশ কিছু কারখানায় ব্যাপক ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় দুষ্কৃতকারীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আশুলিয়া, কাশিমপুর, মিরপুর ও কোনাবাড়ী এলাকার প্রায় ১৩০টি পোশাক কারখানা কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে থাকলে বন্ধ হওয়া সব পোশাক কারখানা খুলতে শুরু করে।
কালের আলো/এসএমআর