যোগদানের ৩ দিন পরই বহিষ্কার ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
প্রকাশিতঃ 10:12 am | January 11, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে গত ৮ জানুয়ারি যোগ দেন কেকা রায় চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) রাতেই আবার তাকে ওইপদ থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী শনিবার অপরাহ্নে কেকা রায় চৌধুরী পদত্যাগ করবেন। ৫ জানুয়রি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে পদত্যাগ করা হাসিনা বেগম যোগ দেবেন।
অধ্যক্ষের পদে এমন তেলেসমাতি কাণ্ডে প্রতিষ্ঠানটিতে বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, ভিকারুননিসয়া অধ্যক্ষের পদে এমন কী মধু যে তা দখলে এমন লড়াই করতে হবে?
জানা গেছে, শিক্ষক দ্বারা বাবা-মাকে অপমানের যন্ত্রণা সইতে না পেরে গত ডিসেম্বরে আত্মহত্যা করে প্রতিষ্ঠানটির নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারী। ওই ঘটনায় গঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ অনুযায়ী ভিকারুননিসার পূর্ণকালীন অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য গত ৯ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
ওইপদে একজন প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেন তখনকার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা বেগম। কিন্তু নিজেই যাতে নিজের নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হতে না পারেন সে লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের (জিবি) পরামর্শে হাসিনা বেগম পদত্যাগ করেন। কিন্তু এরপরই তিনি পদ ফিরে পেতে নানা মহলে তদবির শুরু করেন বলে অভিযোগ উঠে। তারপক্ষে একজন অভিভাবক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
এছাড়া ওই অভিভাবকের পক্ষে একটি চক্র মন্ত্রণালয়সহ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি), শিক্ষা বোর্ডসহ নানা মহলে তদবির শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে রহস্যজনক কারণে মাউশি থেকে অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতের চিঠি দেয়া হয়। সেই নির্দেশনার পর বৃহস্পতিবার রাতে জিবি পুনরায় বৈঠকে বসে। বৈঠকে হাসিনা বেগমকে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পদচ্যুত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ভিকারুননিসার জিবি সদস্য আতাউর রহমান বলেন, মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ীই আমরা অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করি। আবার মন্ত্রণালয়েরই নির্দেশে সেই প্রক্রিয়া স্থগিত করতে হয়েছে।
ভিকারুননিসার সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটিতে কয়েকবছর ধরে ভর্তি বাণিজ্য হচ্ছে। নির্দিষ্ট আসনের বিপরীতে বহু সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। অবৈধ ভর্তির নেপথ্যে থাকা গোষ্ঠীই অধ্যক্ষ নিয়োগে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
কালের আলো/ওএইচ