ওয়াশিংটনে ইসরায়েলমুখী ‘অস্ত্রবাহী’ জাহাজ আটকাতে বিক্ষোভ

প্রকাশিতঃ 9:21 pm | November 07, 2023

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

ওয়াশিংটনের টাকোমা বন্দরে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা সমাবেশ করেছেন। তাদের বিশ্বাস, সামরিক একটি জাহাজে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে অস্ত্র যাবে।

এই জাহাজ আটকে দিতেই তাদের বিক্ষোভ-সমাবেশ।
বিক্ষোভকারীদের ভয়, জাহাজে থাকা অস্ত্রগুলো গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ইতোমধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে।

টাকোমায় বিক্ষোভ-সমাবেশ হওয়ার আগে ক্যালিফোর্নিয়ায় একই ধরনের বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছিল।

সমাবেশে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারী ওয়াসিম হেজ বলেন, আমরা এখন যুদ্ধবিরতি চাই। লোকেরা যাতে আর হত্যার শিকার না হয়। আমরা মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি এবং ইসরায়েলে মার্কিন অর্থায়নের বিষয়ে বাস্তব তদন্ত ও পদক্ষেপ চাই।

টাকোমা বন্দরে অপেক্ষমাণ কেপ ওরলান্ডো জাহাজকে কেন্দ্র করে রেইনকোট ও জ্যাকেট পরে এবং ছাতা নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন প্রতিবাদকারীরা। এ সময় তারা বন্দরের ডকের বাইরে অবস্থান নেন।

বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে নিয়ে ‘গাজা রক্ষা করো’, ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘ইসরায়েলের অপরাধের জন্য কানাকড়ি সহায়তা নয়’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

বিক্ষোভকারীরা বন্দরের সড়ক বন্ধ করে দিতে বাইসাইকেল ও গাড়ি নিয়ে আসেন। প্রতীকী হিসেবে জাহাজের চারপাশে ওয়াটার ওয়ারিয়র্স কাউন্সিলের সদস্যরা পানিতে সাতটি নৌকা নিয়ে অবস্থান নেন।

এর আগে শুক্রবার ক্যাপ ওরলান্ডো ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে ছিল, তিন বিক্ষোভকারী জাহাজের সিঁড়ি আটকে রেখেছিলেন। এতে কয়েক ঘণ্টার জন্য জাহাজ ছাড়তে দেরি হয়।

ইসরায়েলকে ১৪ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এর মধ্যে ২০২৩ সালের মধ্যে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি সামরিক সহায়তা দেওয়া দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাজেটের প্রায় ১৬ শতাংশ অর্থায়ন করে থাকে দেশটি।
গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েল নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এরপর জো বাইডেন ইসরায়েলকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করেন।

কালের আলো/এসএমআর

Print Friendly, PDF & Email