ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 7:15 pm | May 13, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা ধেয়ে আসছে। আমরা ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রেখেছি। ঝড়টি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতিও নিয়েছি।’

শনিবার (১৩ মে) ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) ৬০তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আইইবি প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের সময় পানি জমে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সুতরাং সেই সময়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। এ পদক্ষেপ (গ্যাস ও বিদ্যুৎ বন্ধ) সাময়িক দুর্ভোগ সৃষ্টি করলেও মানুষের জীবন রক্ষা পাবে। আমরা এ ধরনের ব্যবস্থা নেবো ও নিচ্ছি।’

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে চাই। উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি আপনাদের (প্রকৌশলী) হাতে, এটা মনে রাখতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন স্বাধীনতার দশ বছরের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতো।

শেখ হাসিনা বলেন, শূন্য হতে যাত্রা শুরু করে মাত্র তিন বছর সাত মাস তিনদিন তিনি সরকারে ছিলেন। একটি প্রদেশকে রাষ্ট্রে উন্নত করা, একটি সংবিধান উপহার দেওয়া, রাস্তাঘাট পুল ব্রিজ আবার পুণর্গঠন, পুনর্বাসন করা, দেশকে আর্থসামাজিকভাবে এগিয়ে নিয়ে জাতিকে স্বল্পোন্নতদেশের স্বীকৃতি এনে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কার কী লাভ হয় জানি না। সারা পৃথিবীর সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী। আমাদের কিছু পদক্ষেপের ফলে মানুষের ওই কষ্টটা হয়নি। আমি কয়েকটা দেশ ঘুরে এলাম, লন্ডনে ৩টার বেশি টমেটো কিনতে দেবে না, এক লিটারের বেশি তেল কিনতে দেবে না, এক প্যাকেট ডিম, খুব বেশি হলে ৬টা, তার বেশি কেউ কিনতে পারবে না। বাংলাদেশে সেই দুরবস্থা কিন্তু আসেনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবে সাধারণ মানুষের একটু কষ্ট হচ্ছে। যার কারণে রোজার সময় সকলকে বলে দিয়েছি, ইফতার পার্টি বন্ধ করে মানুষকে খাবার দিতে হবে, ইফতার দিতে হবে। এটা করেছে আমাদের দলের লোকেরা, তারা সক্রিয় ছিল। আমরা উচ্চ মূল্যে সব কিছু কিনে অল্প টাকায় ক্রয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কোটি মানুষকে টিসিভির কার্ড করে দিয়েছি। চাল, ডাল, তেল যেন কম দামে কিনতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে। ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বলে গেছেন কৃষিযান্ত্রিকীকরণের কথা। আমরা ধীরে ধীরে তা করছি। হাওর অঞ্চলে ৭০ ভাগ ভর্তুকি দিচ্ছি। অন্যান্য অঞ্চলে ৫০ ভাগ। এটাতে অনেক উপকার হয়। আমাদের কৃষি যন্ত্রপাতিগুলো যেন স্বল্পমূল্যে কৃষক কিনতে পারে, সেটার জন্য আপনাদের চিন্তা করতে হবে। আমি হয়তো ভর্তুকি দিয়ে যাবো, সবাই তো সব সময় দেবে না। সেটাও মাথায় রাখতে হবে। সেইভাবে আপানাদের আরও গবেষণা দরকার।

কালের আলো/বিএস/এএ

Print Friendly, PDF & Email