বিএনএসিডব্লিউসি’র ২০ তম সভা, রাসায়নিক দ্রব্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার
প্রকাশিতঃ 4:01 pm | May 09, 2023

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :
শিল্পখাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে রাসায়নিক কেমিক্যালের অবাধ ব্যবহার বাড়ছে। সহজলভ্যতা থাকায় তৈরি হচ্ছে নানা কারখানা। অনেকক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ায় ঘটছে মারাত্মক সব দুর্ঘটনাও। ধ্বংস হচ্ছে বিপুল সম্পদ। ঘটছে বহু মানুষের প্রাণহানিও।
কঠিন এমন বাস্তবতায় সশস্ত্র বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশসহ দুর্ঘটনা মোকাবেলায় সাড়াদানকারী সংস্থাসমূহের করণীয় এবং রাসায়নিক নিরাপত্তা সুসংহত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের (বিএনএসিডব্লিউসি) চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
একই সঙ্গে বাংলাদেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ও তফসিল বহির্ভূত স্বতন্ত্র জৈব রাসায়নিক দ্রব্য সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকারও ব্যক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৯ মে) ঢাকা সেনানিবাসস্থ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাল্টিপারপাস হলে বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (বিএনএসিডব্লিউসি) এর ২০ তম সাধারণ সভায় বিএনএসিডব্লিউসির চলমান কাজগুলো পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এই সাধারণ সভায় বিএনএসিডব্লিউসি’র চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সভাপতিত্ব করেন। সভায় তিনি সুচিন্তিত ও সময়োপযোগী বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বিএনএসিডব্লিউসি’র সদস্যসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং সশস্ত্র বাহিনী থেকে ৪৩ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় বাংলাদেশের রাসায়নিক নিরাপত্তা সুসংহতকরণ ও রাসায়নিক দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশে কেমিক্যাল ওয়ারফেয়ার এজেন্ট সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় সাড়াদানের জন্য বাহিনীসমূহের গঠিত কেমিক্যাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিম (সিডিআরটি) এর কর্মপরিধি চূড়ান্তকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
দেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য আমদানি ও ব্যবহার আরো নিবিড়ভাবে নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ও তফসিল বহির্ভূত স্বতন্ত্র জৈব রাসায়নিক দ্রব্যের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বিএনএসিডব্লিউসির সাথে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য একটি ওয়েব পোর্টাল তৈরী করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এছাড়াও তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য পরিবহনকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার ব্যাপারে সভার সদস্যরা একমত পোষণ করেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, বিএনএসিডব্লিউসি’র পরিদর্শন দলের দিকনির্দেশনা অনুসারে চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে রক্ষিত বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যের সুষ্ঠু নিষ্পত্তির বিষয়টি সভাকে অবহিত করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের ন্যায় অন্যান্য বন্দরে রাসায়নিক দ্রব্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সুসংহত করার ব্যাপারে বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের (বিএনএসিডব্লিউসি) চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।

কালের আলো/এমকে/জিকেএম