স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কার্যকর ভূমিকায় গুরুত্ব জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর

প্রকাশিতঃ 10:49 pm | March 29, 2023

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য নিজ অধিদপ্তরের প্রত্যেকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সরোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘মহান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ দিয়ে গেছেন। প্রায় পাঁচ দশক আগে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের সূচনা করেছিলেন। কিন্তু দেশি-বিদেশী চক্রান্তে একদল বিপদগামী সেনা সদস্য তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই উন্নয়ন-ধারা থমকে গিয়েছিল। আমরা পরম সৌভাগ্যবান বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ আবার সেই স্বপ্নের পথেই হাঁটছে।’

বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এ প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘আশেপাশের দেশের সঙ্গে যদি আমরা নিজেদের তুলনা করে আমরা অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে আছি বিভিন্ন সূচকে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আকাশে আমরা পৌঁছে গেছি। বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল হয়ে গেছে। উন্নয়নের ধারা চলমান রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।’

বুধবার (২৯ মার্চ) জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলনায়তনে চলতি বছরের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম। এ সময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী, স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর প্রমুখ।

দেশের উন্নয়নের অচলায়তন ভেঙেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন ভাষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩৬৫ জনের জন্য মাত্র একটি টিউবওয়েল ছিল। বর্তমানে ১০ জনের জন্য আমরা একটি টিউবওয়েল নিশ্চিত করতে পেরেছি। এসডিজি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করতে পারলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কোন প্রতিবন্ধকতা থাকবে না বলে আমরা আশাবাদী।’

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিভিন্ন প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন ও ১৯৬৯ সালে গণআন্দোলনেও নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। সর্বশেষ ১৯৭০ সালে যখন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের বিজয় হলো কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তর করা হচ্ছিল না তখন বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন স্বাধীনতা ছাড়া আমাদের মুক্তির কোন পথ নেই। সেই চিন্তা থেকেই তিনি ৭ মার্চ স্বাধীনতার প্রত্যয় নিয়ে উচ্চারণ করেছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।’

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘আমি মনে করি সেদিনই স্বাধীনতার ঘোষণা হয়েছিল। সেদিনই কিন্তু আপামর জনতা স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে নির্বিচারে যখন হত্যা করা হলো এবং বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হলো এর আগেই বাঙালি জাতির পিতা অফিশিয়ালি স্বাধীনতার ঘোষণা করে গেছেন। সেই থেকে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব পেয়েছি।’

কালের আলো/এমএএএমকে

Print Friendly, PDF & Email