প্রধানমন্ত্রীর অভিভাবকত্বে সুসংগঠিত র‍্যাব, স্মার্ট বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশে দৃঢ়প্রত্যয় ডিজির

প্রকাশিতঃ 11:02 pm | March 19, 2023

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিভাবকত্বে র‌্যাব ফোর্সেস অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি স্মার্ট, সুসংগঠিত, আত্মপ্রত্যয়ী, নির্লোভ ও অপরাধ দমনের মূল চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন, বিপিএম (বার), পিপিএম। ‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’ এই মূলমন্ত্রকে বুকে লালন করে আগামীতে আরও উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুচারুরূপে পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা যেমনি জানিয়েছেন তেমনি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে রূপান্তরের অংশ হিসেবে র‌্যাব ফোর্সেস একটি স্মার্ট বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশে দৃঢ়প্রত্যয়ের কথাও।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রনায়কোচিত বার্তায় উজ্জীবিত-গৌরবান্বিত র‍্যাব

রবিবার (১৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদর দপ্তরে র‌্যাবের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সমুন্নত রেখে র‌্যাব ফোর্সের্সের অর্জনের আলোকরেখাকে উদ্ভাসিত করেন গোটা বাহিনীর কর্মের দ্যুতি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনায় প্রজ্জ্বলিত করেন নিজেদের সত্যনিষ্ঠ চেতনাবোধকে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো.আমিনুল ইসলাম খান, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন অনুষ্ঠান মঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: জননিরাপত্তায় আস্থায় র‍্যাবের অর্জনে উচ্চকন্ঠ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এম মান্নান, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহাবুব আলী, সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদসহ সরকারের মন্ত্রী এমপিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ড.এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম মতিউর রহমান, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক এ কে এম নাজমুল হাসান, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে অভূতপূর্ব উন্নয়নের গতিধারায় নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়ে র‌্যাব ফোর্সেস মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (গ্রেড-১) এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। আপনার দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির ফলে দেশ আজ শতভাগ বিদ্যুতের মাইলফলক অর্জন করেছে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ও ব্যবহারের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের রূপকল্পের পর লক্ষ্য এবার স্মার্ট বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের মাধ্যমে মহাকাশে নিজেদের গর্বিত পদচিহ্ন আঁকা, দ্রুত গতির মেট্রোরেলের যাত্রা, দেশীয় আন্তর্জাতিক বাঁধা অতিক্রম করে সম্পুর্ণ দেশের অর্থায়নে দেশবাসীর আশার প্রতীক স্বপ্নের পদ্মাসেতু নির্মাণ ও পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন, চট্রগ্রামকে সাজানোর লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণসহ অসংখ্য অবকাঠানো নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের সামাজিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন আপনার একাগ্র কর্মস্পৃহা আর অনন্য সাধারণ দেশপ্রেমের বহি:প্রকাশ।

এছাড়াও উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তব করতে গৃহীত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্প, দোহাজারি থেকে রামগঞ্জ-কক্সবাজার ও ধুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প আজ দৃশ্যমান হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশের আপামর জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে আপনার এই ক্লান্তিহীন পথচলার কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে সম্মানের আসনে আসীন।’

ত্রিমাত্রিক র‌্যাব রুখে দিয়েছে ব্যর্থ রাষ্ট্রের অপচেষ্টা
‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র‌্যাব ফোর্সেস জঙ্গিবাদ, চরমপন্থী, জলদস্যু, সন্ত্রাস দমন, মাদক, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, কিশোর গ্যাং নির্মূল, সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের আসামি গ্রেফতারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আপনার বদান্যতায় এই বাহিনী জল, স্থল ও আকাশে অভিযান পরিচালনায় সক্ষমতা সম্পন্ন একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে’-বলেন র‌্যাব মহাপরিচালক।

এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় একটি স্বার্থান্বেষী মহল এদেশে জঙ্গিবাদের বীজ বপণ করে জঙ্গিবাদের মাধ্যমে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টাকে রুখে দিয়েছে র‌্যাব। সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে র‌্যাব চরমপন্থীকে সমূলে উৎপাটন করেছে। বাংলাদেশের মানুষের মনে আজও ভেসে ওঠে ২১ আগস্টের সেই ভয়াল স্মৃতি। কোন একটি পরিকল্পিত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সারা দেশে একযোগে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের শক্তিতে কবর দিতে চেয়েছিল। যারা আপনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে জাতির পিতার নাম চিরতরে মুছে দিতে এই ঘৃণ্য চক্রান্ত চালিয়েছে আমরা তাদেরকে শক্তহাতে প্রতিহত করেছি। একই সঙ্গে র‌্যাব ফোর্সেস ২১ আগস্ট নৃশংস গ্রেনেড হামলা মামলার চার্জশিটে থাকা ২৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। জঙ্গি দমনে আপনার জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে র‌্যাব ফোর্সেস নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।’

র‌্যাব জঙ্গিদের পরিকল্পনাকে নসাৎ করে দিয়েছে
র‌্যাব ডিজি এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে একটি রোল মডেল। র‌্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হয় জেএমবি শীর্ষ নেতা শায়েখ আব্দুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইসহ অনেক নেতৃস্থানীয় জঙ্গি সদস্য। দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র দেশে সহিংসতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন থেকে কতিপয় সদস্যকে একীভূত করে ২০১৯ সালে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া নামক একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করে। এই সংগঠনটির একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ছিল। তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। ইয়েমেন থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে পরবর্তীতে তারা নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ইতোমধ্যে সংগঠনটির প্রায় শতাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে যদি অভিযান পরিচালনা করা না হতো তাহলে হলি আর্টিজান থেকে বড় ধরণের নাশকতা হতে পারতো। যখনই জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়েছে তখনই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সাহসী অভিযানের মাধ্যমে র‌্যাব জঙ্গিদের পরাজিত করেছে এবং তাদের পরিকল্পনাকে নসাৎ করে দিয়েছে। জঙ্গিবাদ বিরোধী যুদ্ধে জয়লাভ করতে এবং জনসম্পৃক্ততা অর্জনে র‌্যাব ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।’

‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ স্লোগান মানুষের মুখে মুখে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে দেশকে মাদকমুক্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথাও উচ্চারণ করেন র‌্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে র‌্যাব ফোর্সেসকে যে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেছেন সেই আলোকে মাদক বিরোধী অভিযানের ওপর গুরুত্বারোপ করে র‌্যাব দেশব্যাপী নিয়মিত মাদক বিরোধী জোরালো অভিযান পরিচালনা করছে।

‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ র‌্যাবের এই স্লোগান এখন সারা দেশের সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। র‌্যাব ফোর্সেসের এই অর্জন শুধুমাত্র আপনার সঠিক দিকনির্দেশনার ফলেই বাস্তবায়িত হয়েছে। র‌্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে বড় ধরণের আইস ও ইয়াবার চালান উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। যুব সমাজকে ধ্বংসকারী মাদকের অবাধ বেচাকেনা ঠেকাতে ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আপনার ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে দেশকে মাদকমুক্ত করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আপনার দিকনির্দেশনা ও প্রজ্ঞায় সুন্দরবন আজ জলদস্যু মুক্ত। পহেলা নভেম্বর ২০১৮ সালে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করার যে ঘোষণা আপনি দিয়েছেন এতে করে আমরা প্রতিটি র‌্যাব সদস্য হয়েছি গর্বিত। এই অঞ্চলের মানুষ আজ শান্তিতে বাস করছি। একই সঙ্গে সুন্দরবন অঞ্চলে পর্যটন শিল্পেরও বিকাশ ঘটছে। আত্মসমর্পণকারী ৩২৮ জন জলদস্যুকে পুনর্বাসন করতে আপনার অনুদান সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা রাখছে।’

র‌্যাবের অভিযানে বাজার স্থিতিশীল
নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে র‌্যাবের ভূমিকার কথাও মোটা দাগে তুলে ধরেন র‌্যাব ডিজি। তিনি বলেন, ‘দেশের একটি অপশক্তি সিন্ডিকেট তৈরির মাধ্যমে বাজারকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। কিছু কিছু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে পণ্য মজুদ করে দেশের বিরাজমান শান্তি পরিস্থিতি বিঘ্ন করতে চাইছে। র‌্যাবের অব্যাহত অভিযানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা, ভেজাল পণ্য উৎপাদনকারীদের প্রতিহত করা ও অবৈধ মজুদদারদের শাস্তির আওতায় আনতে অভূতপূর্ব সফলতা দেখিয়েছে, যা জনগণের কাছে প্রশংসা পাচ্ছে।’

দুর্যোগে মানবিক সহায়তা প্রদানে সদা প্রস্তুত র‌্যাব
র‌্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘মাননীয় প্র্রধানমন্ত্রী র‌্যাব ফোর্সেসকে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দু’টি হেলিকপ্টার দিয়েছেন। এই বাহিনীর এয়ার উইং পাইলট ব্যবস্থা, সম্মিলিত হেলিকপ্টারের সহায়তায় আমরা অত্র সংস্থার দক্ষ পাইলট দ্বারা যেকোন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় আভিযানিক কার্যক্রমে অধিকতর মনোবল ও দক্ষতার সহিত পরিচালনা করে যাচ্ছি। পাশাপাশি মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমরা হেলিকপ্টার দু’টি ব্যবহার করছি। দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, রান্না করা খাবার শুকনো খাবারসহ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদানে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল দল সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতায় মানুষের অসহায়ত্ব উপলব্ধি করে র‌্যাব শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। র‌্যাব যেকোন দুর্যোগে অসহায় মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানে সদা প্রস্তুত।’

র‌্যাব ফোর্সেসের উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা র‌্যাব ফোর্সেসের উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট বলেও মন্তব্য করেন র‌্যাব মহাপরিচালক। নিজের স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি র‌্যাব ফোর্সেসের উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট রয়েছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি সব সময় থাকবে। সারা দেশে র‌্যাবের সকল ব্যাটালিয়নের স্থায়ী ভবন, ফোর্সেস ব্যারাক ও পারিবারিক বাসস্থান নির্মাণের কার্যক্রমও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এছাড়াও র‌্যাবের কারিগরি উপযুক্ত সক্ষমতা বৃদ্ধি করা শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে, যা সম্পন্ন হলে নি:সন্দেহে আমাদের কর্মস্পৃহা আরও বৃদ্ধি পাবে। আপনার এই সময়োচিত পদক্ষেপের জন্য আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চির কৃতজ্ঞ।’

কালের আলো/এমএএএমকে