হেরে গেলেন ভারতের প্রথম গো-মন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 4:54 pm | December 13, 2018

কালের আলো ডেস্ক:
ভারতে গো-রক্ষার নামে কম কাণ্ড হয়নি। হামলা, মামলা এমনকি গরু রক্ষকদের হাতে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষও প্রাণ হারিয়েছে। কিন্তু এত কিছু করেও ভোটারদের মন জেতা সম্ভব হয়নি। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গেছেন দেশটির প্রথম গো-রক্ষা মন্ত্রী।
গো-রক্ষার জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন করেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। তিনি গোমাতার সেবার জন্য গঠিত এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন ওতারাম দেসাইয়ের হাতে। তিনিই ছিলেন ভারতের প্রথম গো-মন্ত্রী।
রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে মোদির দল বিজেপির। একই সঙ্গে পরাজিত হয়েছেন মন্ত্রী ওতারাম দেসাই। কংগ্রেসের ভরা জোয়ারে শুধু মন্ত্রিত্ব নয়, বিধায়ক হওয়াও আটকে গিয়েছে ওতারামের। আরও বড় বিষয় হচ্ছে তিনি কোনও কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে হারেননি। এক নির্দল প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছেন দেশের প্রথম গোমন্ত্রী ওতারাম দেসাই।
মঙ্গলবার রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। সেই ফল বলছে রাজস্থানের সিরোহী কেন্দ্র থেকে ওতারাম দেসাই ১০ হাজার ভোটে হেরে গিয়েছেন নির্দল প্রার্থী সান্যাম লোধার কাছে।
রাজস্থানে ২০১৫ সালে গো মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা হয়। সেই মন্ত্রণালয় দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রবিণ নেতা ওতারাম দেশাইয়ের কাঁধে। চিরাচরিত নিয়ম মেনে গোরক্ষার কাজে মেতেছিলেন মন্ত্রী ওতারাম। মাথায় লাল পাগড়ি, কপালে তিলক, ধুতি পরে এবং হাতে লাঠি নিত্যদিন সেবা করতেন গোমাতার। তিন বছরের মাথায় এসে সেই পবিত্র দায়িত্ব (!) থেকে তাকে সরিয়ে দিল ভোটাররা।
এর আগে এই মন্ত্রণালয় নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। ২০১৫ সালের পর থেকে বহু গরুর মৃত্যু হয়েছে রাজস্থানে। বিষক্রিয়াসহ নানান ঘটনায় অনেক গরু প্রাণ হারিয়েছে। গত বছর রাজস্থানের আলোয়ারে এক মুসলিম কৃষককে গোরক্ষার নামে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। এছাড়াও গরু সংক্রান্ত কারবারের উপরে কর চাপানো হয়েছিল।
এই বিধানসভা নির্বাচনে গরু খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সব জেলায় গোয়াল খোলার কথা ঘোষণা করেছিল। সেই বিষয়ে কংগ্রেস কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
কালের আলো/ডিএম/এমএইচএ