পাতাল মেট্রোট্রেন চলবে ১০০ সেকেন্ড পরপর

প্রকাশিতঃ 3:44 pm | January 31, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেছেন, পাতাল মেট্রোট্রেন (এমআরটি লাইন-১) চালু হলে প্রতিটি ১০০ সেকেন্ড পরপর চলাচল কবরে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এম এ এন সিদ্দিক বলেন, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোট্রেন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন। ঢাকার জনসংখ্যার হিসাব এবং বাস্তবতার নিরিখে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এমআরটি লাইন-৬ আমরা যে কন্ট্রোল সেন্টার থেকে পরিচালনা করছি, সেটা এখন সাড়ে তিন মিনিট পরপর চলতে পারে। এটাকে আমরা কমিয়ে আনতে পারব। অন্যদিকে এমআরটি লাইন-১ এ ১০০ সেকেন্ড দিয়ে শুরু করব। এটাকে হেডওয়ে বলে। ১০০ সেকেন্ডের মধ্যে একটার পর আরেকটা ট্রেন আসবে, এটি আর কমানোর সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আমরা ছয়টি কোচ দিয়ে এমআরটি লাইন-৬ শুরু করেছি এবং আরও দুটি কোচ সংযোজনের সুযোগ রেখেছি। অর্থাৎ এটি আটটিতে উন্নীত করা যাবে। এমআরটি লাইন-৬ শুরু আটটি কোচ দিয়ে চলবে। এখানে কোচ বৃদ্ধি করার বিষয়টি আর প্রয়োজন হচ্ছে না। ইন্টারন্যাশনাল আটটি কোচ দিয়ে শুরু করে। আমরাও আটটি কোচ দিয়ে শুরু করব।

ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আপনারা দেখেছেন এমআরটি লাইন-৬ এর স্টেশনগুলো রাস্তার ওপরে হয়েছে। আর একইভাবে এমআরটি লাইন-১ এর স্টেশনগুলো রাস্তা নিচে হবে। এটা মাটির ওপরে তিনতলা হয়েছে, ওটা মাটির নিচে তিনতলা হবে। জনসাধারণের জন্য ভোগান্তি না হয় সে কথা মাথায় রেখেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার এবং জাইকা এর অর্থায়নে পাতাল ট্রেনের নির্মাণ কাজের জন্য ৯২ দশমিক ৯৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৬ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ দশমিক ৪৩ কোটি টাকা।

পাতাল মেট্রোরেল বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার রেললাইন মাটির নিচে নির্মিত হবে। এটিই মেট্রোরেলের প্রথম পাতাল যাত্রা। মাটির নিচ দিয়ে এটি চলবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, দুটি রুটে ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ হবে। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত-এই রুটে মাটির নিচ দিয়ে চলবে রেল। এটি ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার।

এই রুটে স্টেশন হবে ১২টি। এগুলো হলো-বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর।

আর পূর্বাচল রুটে নতুন বাজার স্টেশনটি হবে পাতালে। এরপর নতুন বাজার থেকে পূর্বাচলের নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। এ রুটে স্টেশন হবে ৯টি। এগুলো হলো, নতুন বাজার, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা, পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি, মাস্তুল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল পূর্ব, পূর্বাচল টার্মিনাল ও পিতলগঞ্জ ডিপো।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এটি নির্মাণ হলে দৈনিক আট লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবে।

কালের আলো/এমএইচ/এসবি