মেয়র আতিকের ‘কলাগাছ থেরাপি’তে বন্ধ অবৈধ পয়োবর্জ্য সংযোগ

প্রকাশিতঃ 3:44 pm | January 04, 2023

নিজস্ব প্রতিবদক, কালের আলো:

ড্রেন ও লেকে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস দেওয়া বন্ধে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এর মাধ্যমে লেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষার পাশাপাশি মশার উপদ্রব কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার (৪ জানুয়ারি) গুলশানে দুটি বাসার সামনের ড্রেনে কলাগাছ ঢুকিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গত ৩১ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব অভিজাত এলাকার বাড়িওয়ালাদের সতর্ক করা হয়। বাড়িওয়ালাদের সঙ্গে অনেক বার মিটিং করা হয়েছে, যাতে করে তারা তাদের বাড়ির পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ৬ মাস চলে যাবার পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ কারণে আজকে গুলশানের বাড়িগুলোতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে যাদের বাড়ির পয়োবর্জ্য সরাসরি সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনে এসে পড়েছে তাদের বাড়ির সুয়ারেজ লাইনে কলা গাছ ঢুকিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছি।

মেয়র বলেন, আমি আগেও তাদের সতর্ক করেছিলাম যে, সঠিক ব্যবস্থা না নিলে কলা গাছ ঢুকিয়ে বন্ধ করে দেব। কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনিন। এটা তাদের জন্য একপ্রকার শিক্ষা হবে। কলা গাছ ঢুকানোর ফলে তাদের বাড়ির ওয়াশরুমগুলো ওভার ফ্লো হচ্ছে। এরপর থেকে বাড়িওয়ালারা যেন তাদের বাড়ির পয়োবর্জ্য সঠিকভাবে ব্যবস্থা করেন, সেজন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আগামী ১১ জানুয়ারি বারিধারা এলাকায়ও একই ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে ঢাকা উত্তরের মেয়র বলেন, বারিধারা হচ্ছে সবচেয়ে অভিজাত এলাকা। যেটাকে ডিপ্লোম্যাটিটিক জোন বলা হয়। কিন্তু এই জোনে ৫৫০ বাড়ির মধ্যে মাত্র ৫টি বাড়িতে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি নেওয়া আছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। বারিধারার সকলে আমার কাছে একটা অভিযোগই করেন যে, এ এলাকায় শুধু মশা আর মশা। আমি বলি এখানে মশা তো হবেই, কারণ পয়োবর্জ্য সরাসরি গিয়ে পড়ছে বারিধারার লেকে। এর ফলে মাছ চাষ করা যাচ্ছে না। আমি এই সকল সোসাইটির বাসিন্দাদের বলতে চাই, অনতিবিলম্বে আপনারা সোসাইটির সঙ্গে বসেন।

পয়োবর্জ্য ব্যবস্থার জন্য বাড়ি মালিকদের আধুনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে মেয়র আতিক বলেন, আমি বাড়ি মালিকদের বলতে চাই, বড় বড় ভবনে যদি ১০ লাখ টাকা খরচ করে জেনারেটর লাগাতে পারেন, তাহলে আপনারা যার যার বাড়িতে ‘এফুলেন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’ করে এই পয়োবর্জ্য কেন ছাড়তে পারেন না? সামান্য এই কাজটুকু করলে জলজ প্রাণীর জন্য ভালো হবে। এসব প্রযুক্তি এখন দেশেই আছে। এ নিয়ে আমরা বেশ কিছু মেলার ব্যবস্থাও করেছি। অর্থাৎ সমাধান না করে কিন্তু আমরা এই অভিযান চালাইনি।

কালের আলো/এসবি/এমএম

Print Friendly, PDF & Email