প্রতিরোধ দেখিয়েও ১৮৮ রানে হারলো টাইগাররা

প্রকাশিতঃ 10:31 am | December 18, 2022

স্পোর্টস ডেস্ক, কালের আলো:

প্রথম ইনিংসে বড় ধরনের ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটিতেই আসে ভারতের বিপক্ষে রেকর্ড রান। কিন্তু সে সাফল্য তেমন একটা কাজে আসেনি। কারণ লক্ষ্যটা যে পাঁচশ রানেরও বেশি। তাই ওপেনারদের দারুণ প্রতিরোধের পরেও বড় ব্যবধানেই হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে ১৮৮ রানে হারিয়েছে ভারত। বল হাতে বাংলাদেশকে একাই ধবল ধোলাই করে ম্যাচসেরা হয়েছেন ভারতের স্পিনার কুলদীপ যাদব।

সাগরিকার টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রান করেছিল ভারত। জবাবে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছিল প্রথম ইনিংসে মোটে ১৫০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে ফলো অনে না ফেলে আবারো ব্যাট হাতে নামে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে লোকেশ রাহুলের দল সংগ্রহ করে ২৫৮ রান। ফলে সাগরিকা টেস্ট জিততে বাংলাদেশের লক্ষ্য মাত্রা গিয়ে দাঁড়ায় ৫১৩।

চট্টগ্রাম টেস্টে শেষদিনে ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের দরকার ছিল ২৪১ রান, হাতে ৪ উইকেট। এমন দিনের শুরুতেই মিরাজের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ১৩ রান করে মোহাম্মদ সিরাজের বলে কাভার ড্রাইভ খেলতে গিয়ে আউট হন এই অলরাউন্ডার। কিছুক্ষণ লড়াই করে ফেরেন সাকিবও।

ইনিংসের ১১১তম ওভারে এসে সাকিব ফিরেছেন বোল্ড আউট হয়ে। কুলদীপ যাদবের বলে আউট হওয়ার আগে টাইগার এই অধিনায়ক করেন ৮৪ রান। সাকিব-মিরাজের বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৩২৪ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস।

এর আগে গতকাল চতুর্থ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরির রেকর্ড স্পর্শ করেন জাকির হাসান। গতকাল ১৭ রানে অপরাজিত থেকে দিন পার করার পর আজ ৮৩ রান যোগ করে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ওপেনার হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটাও নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ২১৯ বলে ১৩ চার ও ১ ছয়ে সেঞ্চুরি উদযাপন করেন জাকির।

এর আগে অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন আরো তিন ক্রিকেটার। অভিষেক টেস্টে আমিনুল ইসলাম বুলবুল, এরপর মোহাম্মদ আশরাফুল। সবশেষ এই ক্লাবে যুক্ত হয়েছিল পেসার আবুল হাসান রাজুর নাম। এবার চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে এই তালিকায় ঢুকলেন জাকির।

বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট অভিষেকে ওপেনার হিসেবেও জাকির এখন এগিয়ে। বাংলাদেশের হয়ে আগের সেরা ছিল জাভেদ ওমর বেলিমের। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকে তিনি অপরাজিত থাকেন ৮৫ রানে।

সেঞ্চুরি করে জাকিরের ফেরার পরই ব্যাটিংয়ে ধস নামে টাইগার শিবিরে। মুশফিকুর রহিমের পর ফিরে যান নুরুল হাসান সোহানও। দলীয় ২৩৫ রানের মাথায় অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে ২৩ রান করে ফিরে যান মুশফিক। একই ওভারে ফিরে যান নুরুল হাসান সোহানও। উইকেটকিপার এই ব্যাটার করেন মোটে ৩ রান।

দুই উইকেট হারানোর পর লিটন দাস এবং জাকির হাসানের জুটিতে বড় পার্টনারশিপের আশা দেখছিল বাংলাদেশ। তবে চা বিরতির মিনিট দশেক আগেই ঘটে বিপত্তি। কুলদীপ যাদবের বলে ব্যক্তিগত ১৯ রানে লং অনের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তারকা এই ব্যাটার। ভেঙে যায় ৪২ রানের জুটি।

চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে জাকির-শান্তর জুটিতে বেশ ভালোই এগিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে দলীয় ১২৪ রানের মাথায় উমেশ যাদবের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শান্ত। করেন ৬৭ রান।

কালের আলো/এমএইচ/এসবি

Print Friendly, PDF & Email