শ্বাসরূদ্ধকর জয়ে বিশ্বকাপে টিকে থাকলো বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ 12:36 pm | October 30, 2022

স্পোর্টস ডেস্ক, কালের আলো:

শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ১৬ রান। শেষ ওভার করার জন্য সাকিব আল হাসান বল তুলে দিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে। ব্যাট করছেন ব্রাড ইভান্স এবং রায়ান বার্ল। প্রথম বলে দিলেন ১ রান। দ্বিতীয় বলে ব্রাড ইভান্স ছক্কা হাঁকাতে গেলেন। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে বলটি তালুবন্দী করে নিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৪ বলে প্রয়োজন পড়ে ১৫ রান।

তৃতীয় বলটি উইকেটরক্ষকের পেছন দিয়ে বাউন্ডারি মেরে দেন ব্রাড ইভান্স। চতুর্থ বলে দিলেন ছক্কা। ২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন পড়ে ৫ রান। পঞ্চম বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে মিস করেন ইভান্স। বল ধরে স্ট্যাম্প ভেঙে দিতে মোটেও বিলম্ব করেননি নুরুল হাসান সোহান। ১ বলে প্রয়োজন ৫ রান।

শেষ বলে জিম্বাবুয়ের ব্যাটার ব্লেসিং মুজারাবানি। শেষ বলেও উইকেট পেলেন মোসাদ্দেক। এবারও স্ট্যাম্পিং।

ব্রিসবেনের দ্য গ্যাবায় স্নায়ুক্ষয়ী এই ম্যাচে বাংলাদেশের করা ১৫০ রানের জবাব দিতে নেমে ১৪৬ রানে থেমে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ফলে ৪ রানে জিতে গেলো বাংলাদেশ।

এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশি দলনেতা সাকিব আল হাসান। কিন্তু অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সৌম্য লিটন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে কোনো রান না তুলেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সৌম্য সরকার। আর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ১৪ রানে আউট হন লিটন দাস।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইতিবাচক ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার শান্ত ও দলনেতা সাকিব। এ সময় দুজনের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৩ বলে ৫৪ রান। এরপর শেন উইলিয়ামসের করা বলে মুজারাবারি হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব।

এদিকে ওপেনিংয়ে খেলতে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি। বাঁ-হাতি এই ব্যাটারের ইনিংস থেমেছে ৭১ রানে। সিকান্দার রাজার করা বলে ক্রেইগ আরভিনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৫৫ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি সাতটি চার ও একটি ছয়ে সাজানো। ১০ বলে ৭ রানে ফেরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

এদিকে আফিফ হোসেন ধ্রুব খেলে যান শেষ পর্যন্ত। একটি চার ও একটি ছয়ে ২০ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন। আর ১ রানে মাঠ ছাড়েন নুরুল হাসান সোহান।

রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশি পেসারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি জিম্বাবুয়ের টপঅর্ডার ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লেতেই হারিয়েছে চারটি উইকেট। ইনিংসের প্রথম ওভারে তাসকিনের আহমেদের করা বলে ক্যাচ আউট হন ওয়েসলে ম্যাধেভেরে। নিজের করা পরে ওভারে জিম্বাবুইয়ান দলনেতা ক্রেইগ আরভিনকে ফেরান তাসকিন। ৪ রানে ম্যাধেভেরে ও ৮ রানে আরভিন আউট হন।

এদিকে নিজের করা প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট তুলে নেন কাটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজুর রহমান। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে সুম্বা ও পঞ্চম বলে আউট হন সিকান্দার রাজা। আউট হওয়া আগে সুম্বা ৮ রান করলেও রানের খাতায় খুলতে পারেননি রাজা। এছাড়া ১৫ রানে আউট হন চাকাভা।

৬৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলের হাল ধরেন শেন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্ল। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজন মিলে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। গড়েন ৬৩ রানের জুটি। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন উইলিয়ামস। সাকিব আল হাসানের করা ১৯তম ওভারে ব্যক্তিগত ৬৪ রানে রান আউট হন তিনি।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান দুটি ও মোসাদ্দেক হোসেন একটি করে উইকেট নেন।

কালের আলো/এসবি/এমএম