সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ ডিম, দুধ ও মাংস নিশ্চিত করতে হবে : প্রাণিসম্পদ ডিজি

প্রকাশিতঃ 8:29 pm | October 22, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সাশ্রয়ী মূল্যে অধিকতর নিরাপদ ডিম, দুধ ও মাংস নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা বলেছেন, ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। জনপ্রতি মাংসের প্রাপ্যতা দৈনিক ১৬০ গ্রাম এবং বছরে ডিমের প্রাপ্যতা ২০৮টিতে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এ লক্ষ্য পূরণ করতে হলে একদিকে যেমন উৎপাদন ব্যয় কমাতে হবে, সাশ্রয়ী মূল্যে সবার জন্য ডিম ও মাংসের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে; অন্যদিকে তেমনি ডিম, দুধ ও মাংসকে অধিকতর নিরাপদ করতে হবে।

শনিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ভেটেরিনারি পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউ.ভি.পি.এ) বাংলাদেশ শাখা আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‍পঞ্চম ডব্লিউ.ভি.পি.এ এশিয়া মিটিং- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ডা. শাহজাদা বলেন, ‘আমরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারি হতে চাই এবং এক্ষেত্রে পোল্ট্রি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ শিল্পের কাঙ্খিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বেসরকারি উদ্যোক্তা, শিক্ষক, গবেষক এবং সরকার একযোগে কাজ করছে।’

বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) নির্বাহী সদস্য এবং ব্রিডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার বলেন, ‘গ্রামীণ অর্থনীতিতে পোল্ট্রি শিল্পের অবদান অনস্বীকার্য়। গ্রাম থেকে শহরমুখী মানুষের যে স্রোত পূর্বে দেখা যেত পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশের কারণে তা অনেকাংশে কমেছে।’

শাহরিয়ার বলেন, ‘কিভাবে উৎপাদন খরচ কমানো যায় সেটিই এখন প্রধান বিবেচ্য। রোগ-জীবানুর সংক্রমণ কমাতে পারলে উৎপাদন খরচ এমনিতেই কমে আসবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রফতানির কথা ভাবছি কিন্তু নিরাপত্তার মাপকাঠিতে ডিম ও মুরগির মাংসের মান আরও বৃদ্ধি করতে না পারলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে বেগ পেতে হবে।’

গ্লোবাল ডব্লিউ.ভি.পি.এ প্রেসিডেন্ট নিকোলাস ইতেরাদোসি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী রোগ-জীবানুর সংক্রমণ বাড়ছে। পোল্ট্রি শিল্পের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভেটেরিনারিয়ানগণ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছেন। পরিযায়ী পাখির মাধ্যমে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস কিভাবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে নিকোলাস তা তুলে ধরেন এবং ফ্রান্সের অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের জন্য কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করেন।’

ফ্রান্সের অপর এক গবেষক ক্রিস্টোফি কাজাবান বলেন, ‘একসঙ্গে একাধিক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটলে মুরগির মৃত্যুর হার বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কখনও কখনও লো-প্যাথজনিক ভাইরাসও হাইলি প্যাথজনিক ভাইরাসের মত ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করছে।’

দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে মোট ১২টি প্লেনারী বক্তৃতা এবং ৭০টি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র ও পোস্টার উপস্থাপন করা হবে। বিজ্ঞানীরা পোল্ট্রি ও জনস্বাস্থ্য (ওয়ান হেলথ) বিবেচনায় নতুনভাবে আবির্ভূত পোল্ট্রি রোগসমূহ সনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (AMR) প্রশমনে করণীয় বিষয়ে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন।

কালের আলো/বিসিএ/এমএম

Print Friendly, PDF & Email