যার যে জমি আছে সেখানে কিছু উৎপাদনের চেষ্টা করুন : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 1:25 pm | October 17, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারাবিশ্বে যে দুর্যোগের ঘনঘটা তা থেকে বাংলাদেশকে সুরক্ষিত করতে হবে। যে যার অবস্থান থেকে অধিক খাদ্য উৎপাদনের চেষ্টা করুন। যার যে জমি আছে সবাই সেখানে কিছু উৎপাদনের চেষ্টা করুন।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ তাগিদ দেন তিনি। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অনেক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জায়গা আছে। সেগুলোতে আমরা উৎপাদনের দিকে নজর দেই। খাদ্য গ্রহণেও সাশ্রয়ী হই। যে যা পারি উৎপাদন করি। তাহলে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। বিশ্বব্যাপী যদি দুর্ভিক্ষ হয়ও, বাংলাদেশ যেন খাদ্যের যোগান দিতে পারে আমাদের এখন সে ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, পাশাপাশি আমাদের খাদ্যের সাশ্রয় করতে হবে। আবার যেসব খাদ্য এখন বেঁচে যায়, সেগুলো সঠিক সংরক্ষণ করতে হবে। আমরা উৎপাদন করে যাচ্ছি, কিন্তু সেগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করতে পারলে অযথাই নষ্ট হবে। সেদিকে এখন নজর দিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, এছাড়া দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে আমরা যে সব পণ্য আমদানি করি, সে সব পণ্য ব্যবহারে মনোযোগী হতে হবে। সেগুলোর উৎপাদন কীভাবে বাড়ানো যায় সে চেষ্টা করতে হবে। আমি মনে করি সেটা খুব একটা কঠিন হবে না। আমাদের পেঁয়াজের ঘাটতি ছিল, এখন আমরা পেঁয়াজ উৎপাদন করে চাহিদা মেটাচ্ছি। এসময় তেলজাতীয় ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান।

তিনি আরও বলেন, কৃষকের ভর্তুকির টাকা যাতে তার ব্যাংকে সরাসরি চলে যায় আমরা সে ব্যবস্থাও নিয়েছি। মাত্র ১০ টাকায় তারা যেন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছিলাম। আমরা শুরু করেছিলাম কুড়িগ্রাম থেকে। কারণ ওইসব এলাকাই ছিল সবচেয়ে দুর্ভিক্ষপূর্ণ এলাকা। সেখানেই কৃষকরা প্রথম ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আগে থেকেই একটা বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সেটা হচ্ছে গবেষণার মাধ্যমে লবণাক্তসহিষ্ণু, ক্ষরাসহিষ্ণু এবং জলমগ্ন…. কারণ আমাদের দেশে মাঝে মাঝে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা হলে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই এ ধরনের ধান বীজ যাতে গবেষণা করে পাওয়া যায় সে ব্যবস্থাটাও আমরা নিই। গবেষণার মাধ্যমেই আজকে শত শত প্রকারের উচ্চ ফলনশীন বীজ উদ্ভাবন হচ্ছে, সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হচ্ছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।

কালের আলো/এসবি/এমএম