ডেঙ্গু : সচেতনতাই পারে বাঁচাতে

প্রকাশিতঃ 10:11 am | October 10, 2022

ড. মো. হাসিনুর রহমান খান :

গত দশ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় সবচেয়ে বেশি শনাক্ত ধরা পড়ে, বেশি মৃত্যুও ঘটে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে। ডেঙ্গুর গ্রোথ ফ্যাক্টর জুন-জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি হয় এবং এর দু-এক মাসের মধ্যেই সর্বোচ্চ চূড়া দেখা যায়। মৃত্যুর সিংহভাগই হলো আবার কম বয়সী শিশুরা।

এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয় এবং ৫৫ জন মৃত্যুবরণ করেন, যার মধ্যে ৬৫ শতাংশ রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল শুধু সেপ্টেম্বর মাসে এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রেও ঠিক ৬৫ শতাংশ ঘটেছিল এই সেপ্টেম্বর মাসেই।

মানুষের বাসস্থানের সাথে মশার প্রজনন স্থানগুলোর নৈকট্য ডেঙ্গু বিস্তারের অন্যতম উল্লেখযোগ্য কারণ। বর্তমানে ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধের প্রধান পদ্ধতি হলো মশার বাহকের বিরুদ্ধে লড়াই করা। এটি করতে প্রয়োজন ব্যক্তিগত এবং কমিউনিটি পর্যায়ে সম্পৃক্ততা বাড়ানো।

অক্টোবর মাসের শুরুতেও প্রাদুর্ভাব বেশি পরিলক্ষিত হলেও তা ক্রমশ কিঞ্চিৎ করে কমছে বলে মনে হয় প্রতিদিনের ডেঙ্গুর সংখ্যা বিশ্লেষণে। একই ধারা অনুসরণ করলে পরিসংখ্যানের মডেল অনুযায়ী শুধু অক্টোবর মাসেই মোট প্রক্ষেপিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে ১১ বা ১২ হাজার এবং অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর সংখ্যা হবে প্রায় ২০। আগের বছরগুলোর হিসাব অনুযায়ী আক্রান্ত রোগীর প্রায় ৯০ শতাংশ রোগী আসে ঢাকা মহানগর থেকে। কিন্তু এ বছরের হিসাবে ৭৫ শতাংশ রোগী ঢাকা মহানগর থেকে এসেছে।

এই বছর ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে কিছু জেলায় আক্রান্তের হার বরাবরই বেশি থাকছে। এরকম জেলাগুলো হলো কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, যশোর, মাগুরা, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পিরোজপুর, মাদারীপুর, গাজীপুর, পাবনা।

করোনাভাইরাসের মতো ডেঙ্গুর ক্ষেত্রেও লক্ষণহীন রোগীর সংখ্যা অনেক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে মৃদু এবং লক্ষণহীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৮০ শতাংশেরও বেশি হয়। শিশু-কিশোরদের ডেঙ্গু ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় তাদের মধ্যে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ বেশি দেখা দেয়। বয়স্করাও হরহামেশাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু লক্ষণ না থাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন না। মৃদু লক্ষণ অথবা পরিপূর্ণ লক্ষণ থাকলেও অনেকেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার বাইরে থাকছেন। ফলে কমিউনিটিতে প্রকৃত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা রিপোর্টকৃত সংখ্যার চেয়ে অনেকগুণ বেশি।

ডেঙ্গুভাইরাস বহনকারীরা আবার মহিলা এডিস মশার মাধ্যমে অন্যকেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত করার সম্ভাবনা তৈরি করে রাখছেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষকে মশা কামড়ালে সেই মশা ডেঙ্গু জীবাণু বহন করে পরে অন্যকেও আক্রান্ত করতে পারে। স্বল্প পরিসরের বধ্য স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার লার্ভা পরিপক্ব হওয়ার পর মানুষকে কামড়ানোর মধ্য দিয়ে চিরাচরিতভাবে ডেঙ্গুভাইরাসের বিস্তার ঘটালেও উপরোক্ত পদ্ধতিটিও বৈজ্ঞানিকভাবে ডেঙ্গু বিস্তারের অন্যতম কারণ। গর্ভবতী নারীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে গর্ভের সন্তানও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেমন সময়ের আগেই গর্ভপাত, কম ওজনের শিশু জন্ম দেওয়া, ফেটাল দিস্ট্রেস ঘটার বড় ঝুঁকি থাকে।

এডিস মশার চারটি সেরোটাইপের যেকোনো একটি কামড়ালে ডেঙ্গু হয়। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এর মাত্রা এবং প্যাথোজেনিক হওয়ার পেছনে বিভিন্ন সেরোটাইপের ভূমিকা ভিন্ন ভিন্ন হয়। ডেঙ্গুর দ্বিতীয় সেরোটাইপটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে। ডেঙ্গুতে কেউ প্রথমটির বাইরে অন্য সেরোটাইপের দ্বারা দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে জটিল ঝুঁকির (ডেঙ্গু হেমোরেজিক) মধ্যে পড়ে যাওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে যে সেরোটাইপটি দিয়ে আক্রান্ত হয় তার বিরুদ্ধে আজীবনের জন্য রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়। তবে অন্য সব সেরোটাইপের বিরুদ্ধেও কিছুটা ক্রস ইমিউনিটি দেয় অস্থায়ী ভিত্তিতে।

বাংলাদেশে পূর্ব পাকিস্তান থাকাকালীন ১৯৬০ সালে প্রথম ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়ে। যাকে ঢাকা-রোগ নামে ডাকা হয়েছিল। তখন থেকে হঠাৎ-কদাচিৎ এই রোগের কথা জানা গেলও গত ২০ বছর ধরে এটি একটি মহামারি হিসেবে দেখা দেয় এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

বিশেষ করে গত ১০ বছরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে ডেঙ্গুর ব্যাপক বিস্তার ঘটে। ব্রাজিল, ভারত, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশসহ অনেক দেশে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশে সম্প্রতি ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি লোকের (এক লক্ষ এরও বেশি) ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। ২০১০ সালের পর ইউরোপের অনেক দেশে (ফ্রান্স, ক্রোয়েশিয়া, পর্তুগাল) উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায়।

অনেক আগে থেকেই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বা এর কাছাকাছি আবহাওয়ার অঞ্চল বা দেশগুলোতে ডেঙ্গুর বিস্তার ব্যাপকভাবে দেখা যায়। ১৯৭০ সালের আগে মাত্র ৯টি দেশে ডেঙ্গু মহামারি হিসেবে দেখা দেয়। প্রথম স্বীকৃত ডেঙ্গু মহামারি ১৭৮০-এর দশকে এশিয়া, আফ্রিকা এবং উত্তর আমেরিকায় প্রায় একই সময়ে ঘটেছিল, ১৭৭৯ সালে রোগটি শনাক্তকরণ এবং নামকরণের পরপরই। ১৯৫০-এর দশকে হেমোরেজিক ডেঙ্গু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দেখা দেয়, যেখানে এটি ১৯৭০-এর দশকে শিশুদের মধ্যে মৃত্যুর একটি সাধারণ কারণ হয়ে ওঠে। বলা চলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ডেঙ্গু একটি বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এক হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে প্রতি বছর ৪০-৫০ কোটি লোক এই ডেঙ্গুভাইরাসে আক্রান্ত হয়। যার প্রায় ১০ কোটি লোক মারাত্মক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। পৃথিবীর নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের দেশগুলোসহ প্রায় ১২৯টি দেশে এই ডেঙ্গুভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষ, ৪০০ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া সত্যিকারের ঝুঁকির ৭০ শতাংশ মানুষই বাস করে আবার এশিয়া মহাদেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০০০ সালে সারাবিশ্বে পাঁচ লাখ লোক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়, যা পরবর্তী ২০ বছরে আটগুণ বেড়ে যায়।

এডিস এজিপটি মশার প্রজনন সাধারণত স্বল্প পরিসরের বদ্ধ স্বচ্ছ পানিতে হয়। এটি গাছের গর্ত এবং ব্রোমেলিয়াডের (বিভিন্ন গাছের, ফুলের বাকল বা আধার) মতো প্রাকৃতিক পাত্রেও বংশবৃদ্ধি করতে পারে, কিন্তু আজকাল এটি শহুরে বাসস্থানের সাথে ভালোভাবে খাপ খাইয়ে নিয়েছে এবং বেশিরভাগই বালতি, মাটির পাত্র, ফেলে দেওয়া পাত্র এবং ব্যবহৃত টায়ারসহ মানবসৃষ্ট খোলা আকাশে পড়ে থাকা যেকোনো পাত্রে প্রজনন করতে পারে। ফলে জনঘনবসতিপূর্ণ শহর, উপশহর, এমনকি গ্রাম এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণ ডেঙ্গু রোগ বিস্তারের আদর্শ ক্ষেত্র। এই মশার সর্বোচ্চ কামড়ের সময়কাল সকালে এবং সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের আগে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণগুলো দুই থেকে সাতদিনের মধ্যে চলে যায়। এই সংস্থার মতে, জ্বরের মাত্রা বেশি হওয়ার সাথে যেকোনো দুটি লক্ষণ দেখা দিলে ডেঙ্গু হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। লক্ষণগুলো হলো- প্রচণ্ড মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, পেশি এবং জয়েন্টে ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, ফোলা গ্রন্থি, ফুসকুনি পড়া।

ডাক্তারদের মতে, জ্বরসহ এরকম লক্ষণ থাকলে প্রথমদিকেই এনএসওয়ান এন্টিজেন রাপিড টেস্টের মাধ্যমে দ্রুত শনাক্ত করা সহজ হয়। ডাক্তারদের মতে, রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে রোগী এভাবে শনাক্ত হলে রোগীর অবস্থার অবনতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। ডেঙ্গু জ্বরের কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। রোগীদের বিশ্রাম, হাইড্রেটেড থাকা উচিত এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

গত এক দশকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়বে আশা করা যায়। অতীতে একবার ডেঙ্গু হলে কেউ দ্বিতীয়বার অন্য কোনো সেরোটাইপের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে ভয়াবহতা অনেক বেশি হয়।

এমন পরিপ্রেক্ষিতে সমন্বিত ডেঙ্গু মহামারি নিয়ন্ত্রণে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অতীতে ডেঙ্গু হওয়ার ইতিহাস থাকলে শুধু এমন ৯ থেকে ৪৫ বছর বয়সী সবাইকে (সেরোপজিটিভ ব্যক্তি) টিকা নেওয়ার পক্ষে কথা বলেছে। সানোফি পাস্তুইউর ২০১৫ সালে আবিষ্কৃত ডেঙ্গুভ্যাকসিয়া নামক টিকা ইতিমধ্যে ২০টি দেশ ব্যবহারের জন্য অনুমোদন করেছে।

টিকা গ্রহণের বাইরে ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রতিকারমূলক অনেক ব্যবস্থাই রয়েছে। মানুষের বাসস্থানের সাথে মশার প্রজনন স্থানগুলোর নৈকট্য ডেঙ্গু বিস্তারের অন্যতম উল্লেখযোগ্য কারণ। বর্তমানে ডেঙ্গুভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধের প্রধান পদ্ধতি হলো মশার বাহকের বিরুদ্ধে লড়াই করা।এটি করতে প্রয়োজন ব্যক্তিগত এবং কমিউনিটি পর্যায়ে সম্পৃক্ততা বাড়ানো।

পরিবেশ ব্যবস্থাপনা এবং পরিবর্তনের মাধ্যমে ডিম পাড়ার আবাসস্থলে প্রবেশ করা থেকে মশা প্রতিরোধ করা, কঠিন বর্জ্য সঠিকভাবে অপসারণ করা, নিয়মিত বা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে বাসাবাড়ির পানি সংরক্ষণের পাত্রগুলো ঢেকে রাখা, খালি করা এবং পরিষ্কার করা, পানি সংরক্ষণের খোলা কোনো পাত্রে উপযুক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা।

জনগণ এবং স্থানীয় কমিউনিটিকে সচেতন এবং শিক্ষিত করার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার তথা সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাকে মশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বছরব্যাপী সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সেন্টিনেল মশা সংগ্রহের সক্রিয় স্ক্রিনিংসহ মশার সংখ্যায় ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে কি না তার টেকসই মনিটরিং বা সার্ভিলেন্স ব্যবস্থা দাঁড় করাতে হবে। পাশাপাশি ভেক্টর নজরদারিকে ক্লিনিক্যাল এবং পরিবেশ নজরদারির সাথে একত্রিত করতে হবে। মারাত্মক ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ বা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সেরোপজিটিভ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের যথাযথ টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যক্তিগত পারিবারিক সুরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করা, যেমন- জানালার পর্দা, রেপেলেন্টস, কয়েল এবং ভ্যাপোরাইজার। এ ব্যবস্থাগুলো অবশ্যই দিনের বেলা বাড়ির ভেতরে এবং বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই পালন করা উচিত (যেমন- কর্মক্ষেত্রে/স্কুলে) কারণ প্রাথমিক মশার ভেক্টর সারাদিন কামড়ায়।

এছাড়াও মশার সাথে ত্বকের সংস্পর্শ কমিয়ে দেয় এমন পোশাক পরিধান করা, লোশন ব্যবহার করা। এছাড়াও প্রতি বছর জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিশেষ সচেতনতামূলক পদক্ষেপ (মোবাইল মেসেজ, রেডিও এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠান) গ্রহণে বাধ্যবাধকতা থাকা।

লেখক: অধ্যাপক, ফলিত পরিসংখ্যান, পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সভাপতি, আই এস আর টি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নির্বাহী কমিটি।

Print Friendly, PDF & Email