একাধিক হাত বদলের পর ব্যবহার হতো চোরাই মোটরসাইকেল

প্রকাশিতঃ 8:25 pm | September 22, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

মোটরসাইকেল চুরির চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতাররা হলেন- মোহাম্মদ আলী, আানোয়ার হোসেন রুবেল, মো. সামছুল হুদা, মো. কামাল হোসেন ওরফে আকাশ ও মো. মিজান।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ও নোয়াখালীর চাটখিল এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫টি চোরাই মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

পরে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি প্রধান, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ডিবিপ্রধান বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি উত্তরা দক্ষিণখান থানায় একটি মোটরসাইকেল চুরির মামলা করেন একজন ভুক্তভোগী। পরে মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ এ চোরচক্রকে শনাক্ত করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মোহাম্মদ আলী জানান, তিনি ও তার সহযোগীরা গত কয়েক বছর ধরে ঢাকার উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে নোয়াখালী জেলার চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানা এলাকায় বিক্রি করতেন।

নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানাধীন পূর্ব বাজার সংলগ্ন আনোয়ার হোসেনের গ্যারেজে চোরাই মোটরসাইকেল আছে। গ্রেফতার মোহাম্মদ আলীর তথ্যের ভিত্তিতে চোরচক্রের মূলহোতা আনোয়ার হোসেন রুবেলসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ আরও বলেন, নকল চাবি দিয়ে চক্রের সদস্যরা গ্যারেজ ভেঙে অথবা পার্কিং করা অবস্থায় গাড়ি চুরি করে পালিয়ে যেতো।

মোটরসাইকেল চুরি হলে অনেকেই থানায় জিডি বা মামলা করেন না। রাজধানী থেকে যে কোনো গাড়ি চুরি হলেই মামলা না করলে অন্তত জিডি করার পরামর্শ দেন হারুন অর রশীদ।

এরপর সেই জিডি ডিবির কাছে দিলে ডিবি তদন্ত করে চোরচক্রকে গ্রেফতার করবে এবং মোটরসাইকেল উদ্ধার করবে বলেও জানান তিনি।

দোহার, নবাবগঞ্জ ও নোয়াখালীতে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চেক করা হলে কম সংখ্যক মোটরসাইকেলের সঠিক কাগজপত্র পাওয়া যাবে। এসব চোরাই মোটরসাইকেলের অধিকাংশেরই কাগজ নেই। চোরাই মোটরসাইকেল যার কাছ থেকে পাওয়া যাবে সেই চোর হবে এবং তাকে গ্রেফতার করা হবে।

পুরাতন মোটরসাইকেল কেনার আগে অবশ্যই কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে কেনার পরামরশ দেন ডিবির এ কর্মকর্তা।

কালের আলো/এসআরবি/এমএম