জয়ের রাজনীতিতে নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 5:32 pm | September 04, 2022

ডেস্ক রিপোর্ট, কালের আলো:
ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের রাজনীতিতে যোগ দেওয়াটা একান্তই তার ও দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারত সফরে যাওয়ার একদিন আগে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালে (এএনআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সাক্ষাৎকারটি রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ করে এএনআই।
শেখ হাসিনা জানান, তার সরকারের অনেক ডিজিটাল উদ্যোগের পেছনে রয়েছে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মস্তিষ্ক। জয় রাজনীতিতে যোগ দেবেন কি না সে সিদ্ধান্ত তার এবং দেশের জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।
ছেলের রাজনীতিতে আসা প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেখুন… সে এখন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তাই এটা তার ব্যাপার, কিন্তু সে দেশের জন্য কাজ করছে। আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, এই সব স্যাটেলাইট, সাবমেরিন ক্যাবল বা কম্পিউটার ট্রেনিং সবকিছুই তার ধারণা। সে আমাকে সহায়তা করছে। কিন্তু সে কখনোই দল বা মন্ত্রিত্বের কোনো পদ নেওয়ার বিষয়ে ভাবেনি। এমন কিছু সে কখনও করেনি।’
দলের নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে জয়কে রাজনীতিতে যুক্ত করার দাবি উঠেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দলীয় সম্মেলনেও তার পদ নেয়ার তীব্র দাবি ওঠে। আমি তাকে বলি, মাইক্রোফোনের কাছে যাও এবং কী চাও তা আমাকে জানাও। সে তখনও বলেছিল, আমি এই মুহূর্তে দলীয় কোনো পদ চাই না। বরং যারা দলটির জন্য নিবেদিত, দলের জন্য কাজ করছেন, তাদেরই পদ পাওয়া উচিত। আমি কেন পদ দখল করে রাখব? আমি আমার মায়ের সাথে আছি, দেশের জন্য কাজ করছি, মাকে সহযোগিতা করছি, এবং তাই করব।
এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি কখনোই ইস্যু ছিল না।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সবসময় মনে করেন যে, নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর উচিত সবসময় সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ ও মতভেদ দূর করা। তার কথায়, ‘আমি সবসময় অনুভব করি যে- হ্যাঁ, যদি চীন ও ভারতের মধ্যে কোনো সমস্যা থাকে তবে আমি তাতে নাক গলাতে চাই না। আমি আমার দেশের উন্নয়ন চাই এবং যেহেতু ভারত আমাদের পাশের প্রতিবেশী, তাই আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক আছে। আমাদের অনেক দ্বিপাক্ষিক সমস্যা ছিল এটা সত্য, কিন্তু আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হচ্ছে উন্নয়ন এবং জনগণের উন্নয়নের জন্য যেকোনো দেশের সহায়তা নিতে আমরা প্রস্তুত।
কালের আলো/এসবি/এমএম