সাত দলীয় জোটের সবাই রাজনীতিতে পরিত্যক্ত : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 6:20 pm | August 09, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে সাত দলীয় একটি জোট গঠন হয়েছে দেখলাম। যারা এ জোট গঠন করেছে, তারা সবাই রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ব্যক্তিবিশেষ এবং রাজনীতিতে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। তারা প্রত্যেকেই নানা দল করে, নানা ঘাটের পানি খেয়ে আজকের এ অবস্থায় এসেছেন এবং জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোড নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামের নতুন জোটের ঘোষণা দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।

গণতন্ত্র মঞ্চের সাতটি দল হলো- আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে নাগরিক ঐক্য, সাইফুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে গণসংহতি আন্দোলন, ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বে গণ অধিকার পরিষদ, রফিকুল ইসলাম বাবলুর নেতৃত্বে ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও হাসনাত কাইয়ুমের নেতৃত্বে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি একটি গুরুত্বহীন জোট এবং ভোটের রাজনীতি বলুন বা দেশের সার্বিক রাজনীতি কোনো ক্ষেত্রেই তাদের কোনো ‘গুরুত্ব নেই’। তারা নিজেরা যেহেতু গুরুত্বহীন, তাই নতুন জোট গঠন করে নিজেদের গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছেন মাত্র, অন্য কিছু না।

এর আগে সকালে মহাখালীতে পদ্মা সেতু নিয়ে ছেলেধরা গুজবের জের ধরে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার তাসলিমা বেগম রেনুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

এসময় তিনি বলেন, ২০১৯ সালে যখন পদ্মা সেতুর কাজ পুরোদমে শুরু হয় তখন বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে গুজব ছড়ায়, ‘পদ্মা সেতুতে মানুষের রক্ত লাগবে, নরবলী দিতে হবে’। তসলিমা বেগম রেনু সেসময় বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করতে গিয়েছিলেন। বিএনপি-জামায়াত সৃষ্ট গুজবের প্রেক্ষিতে তিনি নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। এ ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শুধু তসলিমা বেগমই নন, বিএনপি-জামায়াতের গুজবের কারণে আরও অনেককে অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ ধরনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী রেনু বেগম হত্যার বিচারের বিষয়েও দলীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।

এ সময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মহাখালী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/বিএস/এমএম