রাশিয়া থেকে এলো রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রাংশের দ্বিতীয় চালান
প্রকাশিতঃ 2:08 pm | August 06, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
দেশের চলমান মেগা প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রধান মূল যন্ত্রাংশ নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এম.ভি ড্রাগনবল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর এটি এদেশের রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের পণ্যের চালানের রাশিয়ান দ্বিতীয় জাহাজ।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেলে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়ীয়ার ৭ নম্বর বয়ায় ভিড়েছে রাশিয়া থেকে ছেড়ে আসা এ জাহাজটি।
জানা যায়, জাহাজটির গভীরতা বেশি হওয়ায় শুক্রবার সেখানে রেখে কিছু পণ্য খালাস করা হবে। এরপর জাহাজটি কিছুটা হালকা হলে শনিবার বিকেলে বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে আনা হবে। জেটিতে আনার পর শনিবার সন্ধ্যা থেকে ওই জাহাজটি থেকে পুনরায় পণ্য খালাসের কাজ শুরু হবে।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ইন্টার পোর্ট’র খুলনা অফিসের জেনারেল ম্যানেজার অসিম কুমার সাহা বলেন, গত ৬ জুলাই রাশিয়া থেকে ছেড়ে আসা এ জাহাজটির মোংলা বন্দরে পৌঁছাতে প্রায় ৩০ দিন সময় লেগেছে। এছাড়া জাহাজটির গভীরতা বেশি থাকায় সরাসরি বন্দর জেটিতে ভিড়তে পারছে না। তাই হাড়বাড়ীয়ার ৭ নম্বর বয়ায় রেখে কিছু পণ্য খালাস করে তারপর জেটিতে আনা হবে জাহাজটি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, এ জাহাজটিতে রাশিয়া থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আমদানি করা ২ হাজার ৮৬২টি প্যাকেজে গুরুত্বপূর্ণ মেশিনারি যন্ত্রপাতি এসেছে। এসব পণ্যের ওজন প্রায় ৫ হাজার ৬০১ মেট্রিক টন। জাহাজ থেকে জেটিতে এ যন্ত্রাংশ খালাসের পরপরই তা সড়ক পথে ট্রাক ও লড়িতে করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল মোংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি, খালাস ও পরিবহণের ক্ষেত্রে এক নবযুগের সূচনার সাক্ষী হয়ে থাকবে এ বন্দর।
উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর রাশিয়া থেকে এম.ভি ফেসকো আলিশ রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে এসেছিলো। তারপর যুদ্ধ শুরুর সাড়ে ৯ মাস পর ১লা আগস্ট প্রথম রাশিয়ান জাহাজ এম.ভি কামিল্লা আসে এ বন্দরে। আর তার ৪ দিনের মাথায় রাশিয়া থেকে রূপপুরের মালামাল নিয়ে ৫ আগস্ট এসেছে এম.ভি ড্রাগনবল।
কালের আলো/এসবি/এমএম