গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ‘এনভায়রনমেন্টাল ‘ল’ অ্যান্ড পলিসি’ শীর্ষক সম্মেলন শুরু

প্রকাশিতঃ 9:40 pm | July 22, 2022

ডেস্ক রিপোর্ট, কালের আলো:

পরিবেশ রক্ষায় আইনী উদ্যোগ বাস্তবায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আয়োজনে দু’দিনব্যাপী ‘এনভায়রনমেন্টাল ল’ অ্যান্ড পলিসি’ শীর্ষক সম্মেলন শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের আয়োজনে এই সম্মেলন শুরু হয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাকিয়া আফরোজ এবং সম্মেলনের আহ্বায়ক ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব।

সম্মলনের প্রথম দিনে পরিবেশ সুরক্ষায় সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান বক্তারা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, স্রষ্টার সৃষ্টিকে বাঁচিয়ে রাখতে সবার আগে পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে। এই রক্ষার দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, প্রত্যেকটি মানুষের। সত্যিকার অর্থে বাঁচার মত বাঁচতে চাইলে নিজ নিজ জায়গা থেকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রত্যেকেই প্রতিনিয়ত কোনো না কোনোভাবে পরিবেশ নষ্ট করছি। সেটা যে শুধু বায়ু দূষণ তা নয়, পানি দূষণ, বনায়ন দূষণসহ নানা ধরনের পরিবেশ দূষিত করছি। তিনি বলেন, শ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকতে হলে এখন থেকেই সচেতন হতে হবে।

মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ শুধু দেশীয় না, বৈশ্বিকভাবেও পরিবেশ দূষণের শিকার হচ্ছে। আর এই দূষণে সবচেয়ে বেশি দায়ী হলো যুক্তরাষ্ট্র। আগামীতে কেন যুক্তরাষ্ট্রকে আইনের আওতায় আনা যাবে না- আইনের শিক্ষার্থীদেরকে তা নিয়েও ভাবতে হবে।

আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান বলেন, আইন প্রণয়নের আগেই আমাদের হাতের মুঠোয় প্রযুক্তি চলে আসছে। এর ফলে একদিকে যেমন আইন প্রয়োগ হয় না, অন্যদিকে প্রযুক্তির অপব্যবহার হয়। পরিবেশ আইন যথাযথভাবে কার্যকর না হওয়ার জন্যও এই বিষয়টি দায়ী।

তিনি বলেন, পরিবেশ কীভাবে দূষণ হয়- একজন শিশুর সামাজীকিকরণের দিকে তাকালেই তা বুঝা যাবে। কারণ কোথায় সে আবর্জনা ফেলবে, কীভাবে তার আশেপাশের পরিবেশ রক্ষা করবে- সেটা পরিবারই তাকে শিক্ষা দেবে। যদিও আমাদের অধিকাংশ পরিবার তা শিক্ষা দেয় না।

সম্মেলনের সেশন চেয়ার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, পরিবেশ রক্ষায় মানুষ এখন আগের চেয়ে বেশি সচেতন। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের মাধ্যমে এই সচেতনতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কল-কারখানা নির্মান, নগরায়নসহ নানা কারণে আমাদের পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। যদিও বর্তমান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বেশ কিছু আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করায় এই দূষণ কমে এসেছে।

অনুষ্ঠানে আইন অনুষদের ডিন ও সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সের নানা দিক তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে, পরিবেশ রক্ষায় আমাদের কী করতে হবে, কী আইন প্রয়োজন। সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ের উত্থাপিত গবেষণা প্রবন্ধের মাধ্যমে পরিবেশ আইন ও পলিসি সংক্রান্ত নানামুখী প্রস্তাবনা উঠে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

কালের আলো/এসবি/এমএম