শুভ জন্মদিন মাশরাফি
প্রকাশিতঃ 11:55 am | October 05, 2017
অসামান্য প্রতিভাধর তিনি। তেমনই ব্যক্তিত্ব তার। দুরন্ত কৈশোর পেরিয়ে একে একে ৩৪টি বসন্ত পার করলেন। এখন তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের আইকন সফল ওয়ানডে অধিনায়ক। তিনি মাশরাফি বিন মর্তুজা।
৫ অক্টোবর এই দিনেই তিনি মায়ের কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার ৩৪ বছর পেরিয়ে ৩৫ বছরে পদার্পণ করলেন তিনি।
শুভ জন্মদিন মাশরাফি। কালের আলো পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।
এদিকে একই দিনে মাশরাফির ছেলেরও জন্মদিন। ২০১৪ সালের এই দিনে মাশরাফির ছেলে সাহেল মর্তুজা স্ত্রী সুমনা হক সুমির কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে আসে। বাবা ও ছেলের একই দিনে জন্ম অনেকটা ভিন্ন আমেজ সৃষ্টি করেছে।
নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজা ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর নড়াইল শহরের মহিষখোলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম গোলাম মর্তুজা স্বপন। মায়ের নাম হামিদা মর্তুজা বলাকা। দুই ভাইয়ের মধ্যে মাশরাফি বড়। মাশরাফি ২০০৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নড়াইল শহরে আলাদাতপুরের মেয়ে সুমনা হক সুমির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মাশরাফি।
মাশরাফি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন দুরন্ত। সারাক্ষণ বন্ধুদের নিয়ে মেতে থাকতেন। স্কুল ফাঁকি দিয়ে চলে যেতেন ক্রিকেট খেলতে। বাকি সময়টা চলতো ব্যাডমিন্টন আর চিত্রা নদীতে সাঁতার কেটে। এভাবেই একদিন সুযোগ পেয়ে গেলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। সেখান থেকেই তিনি চোখে পড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং কোচ অ্যান্ডি রবার্টসের। তার হাতে পড়েই জীবন বদলে যায় মাশরাফির। তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি প্রথম শ্রেণির কোনো ম্যাচ না খেলেই টেস্টে অভিষিক্ত হন।
ক্রিকেট তারকার এটি ৩৪তম জন্মদিন হলেও এর আগে কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জন্মদিন পালন করা হয়নি। মাশরাফি জন্মদিন পালন করা পছন্দ করেন না।
এদিকে মাশরাফির জন্মদিনে ২০১৬ সালে নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের রুখালী গ্রামে মাশরাফি ভক্তদের প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা হয় ‘মাশরাফি গণপাঠাগার’।
জন্মদিন ও পাঠাগারের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
মাশরাফির বন্ধু সুমন বিশ্বাস বলেন, “মাশরাফি একটি ভিন্ন ধরনের মানুষ, কখনও নিজের জন্মদিন পালন করেন না বাড়িতেও পালন করতে দেন না।”
মাশরাফির মা হামিদা মর্তুজা বলাকা ছেলে ও নাতির জন্মদিনে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বলেছেন, “মাশরাফি এখন পরিবার নিয়ে ঢাকায় আছে।”
মাশরাফিসহ দেশের সকল খেলোয়াড় যাতে সুস্থ থাকেন এবং আগামী দিনগুলোতে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারেন সে জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার মা হামিদা।
মাশরাফির বাবা গোলাম মর্তুজা স্বপন বলেন, “মাশরাফির জন্য আপনারা দোয়া করবেন, যেন সুস্থ থেকে দেশের জন্য আরো বেশি সুনাম বয়ে আনতে পারে।”
এসময় তিনি দোয়া প্রার্থনা করেন দেশবাসীর কাছে মাশরাফির জন্য।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু বলেন, “মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন মাশরাফিকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। বিচক্ষণতা, সরলতা, ভদ্রতা, দেশপ্রেমসহ অসংখ্য গুণে গুণান্বিত মাশরাফি বিন মর্তুজা দেশবাসীকে মুগ্ধ করেছেন। ইনজুরি মাশরাফির জীবনের বড় বাধা হয়ে দাঁড়ালেও কঠোর মনোবলের কারণে আজও ক্রিকেটকে ধরে রেখেছেন।”
আগামী বিশ্বকাপে মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হবে এই প্রত্যাশা করেন এই কর্মকর্তা।