লঙ্কানদের ২২১ রানে আটকে দিল টাইগাররা

প্রকাশিতঃ 4:08 pm | January 27, 2018

কালের আলো ডেস্ক: অধরা ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের শিরোপা মিশনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টসে হেরে প্রথমে ফিল্ডিং করেছে বাংলাদেশ। যেখানে হাথুরুসিংহের শিষ্যরা নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করতে সমর্থ হয়। টাইগার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ চার উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেন পেসার রুবেল হোসেন।

মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইনিংসের প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথমবার একাদশে সুযোগ পাওয়া মেহেদি হাসান মিরাজ। উঠিয়ে মারতে গিয়ে লং-অফে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েন দানুশকা গুনাথিলাকা (৬)। ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় লঙ্কানরা। বিপদজনক হয়ে ওঠা কুশল মেন্ডিসকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যাচ বানিয়ে সতীর্থদের উদযাপনের মধ্যমণি বনে যান অধিনায়ক মাশরাফি।

হাইভোল্টেজ ফাইনালে শুরুর ধাক্কা সামলে থারাঙ্গা-ডিকভেলা জুটিতে রানের চাকা সচল রাখে লঙ্কানরা। দু’জনের ৭১ রানের পার্টনারশিপ ভেঙে মূল্যবান ব্রেকথ্রু এনে দেন একাদশে ফেরা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। সাব্বির রহমানের ক্যাচবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন নিরোশান ডিকভেলা (৪২)। দলীয় ১১৩ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে।

মোস্তাফিজুর রহমানের প্রথম শিকারে ১৫৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে লঙ্কানরা। ক্লিন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন দলীয় সর্বোচ্চ রান করা ওপেনার উপুল থারাঙ্গা (৫৬)। অান্তর্জাতিক ওয়ানডেতে এটি মোস্তাফিজের ৫০তম উইকেট (২৭তম ম্যাচ)। যা বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে দ্রুততম।অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালের সঙ্গে থারাঙ্গার চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ৪৫।

প্রতিপক্ষের টানা চারটি উইকেট তুলে নেন রুবেল হোসেন। তামিমের ক্যাচ বানিয়ে হার্ডহিটার থিসারা পেরেরাকে দুই রানে ফেরান তিনি। ডানহাতি এ পেসারের দ্বিতীয় শিকারে ১৮২ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে লঙ্কানরা। আসেলা গুনারত্নেকে ব্যক্তিগত ছয় রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন তিনি। পরে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালকে ৪৫ রানে বোল্ড করেন। ব্যক্তিগত ৭ রানে থাকা শেহান মাদুশাঙ্কাকেও বোল্ড করেন তিনি।

ইনিংসের শেষ বলে সুরাঙ্গা লাকমাল রান আউট হন। উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের থ্রোতে স্ট্যাম ভাঙে তার।

রুবেলের চার উইকেটের পাশাপাশি দুটি উইকেট পান মোস্তাফিজুর রহমান। একটি করে উইকেট দখল করেন মেহেদি হাসান, মাশরাফি ও সাইফ।

শিরোপা জেতার ম্যাচে একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। বাদ পড়েছেন এনামুল হক বিজয়, নাসির হোসেন ও আবুল হাসান রাজু। খেলছেন মোহাম্মদ মিঠুন, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও মিরাজ। শ্রীলঙ্কা টিমে পরিবর্তন একটি। লক্ষণ সান্দাকানের জায়গায় আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে পেসার শেহান মাদুশাঙ্কার।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ মিঠুন, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।

শ্রীলঙ্কা একাদশ: উপুল থারাঙ্গা, দানুশকা গুনাথিলাকা, কুশল মেন্ডিস, দিনেশ চান্দিমাল (অধিনায়ক), নিরোশান ডিকভেলা (উইকেটরক্ষক), আসিলা গুনারত্নে, থিসারা পেরেরা, আকিল ধনাঞ্জয়া, সুরাঙ্গা লাকমল, দুশমান্থা চামিরা, শেহান মাদুশাঙ্কা।