তারেককে ঠেকাতে আদালতে যাবে আওয়ামী লীগ

প্রকাশিতঃ 8:45 pm | November 20, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

দণ্ডিত ও পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ বন্ধ করতে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক জিয়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আরেকটি মামলায় তাকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তিনি বিদেশ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে এটা হতে পারে না।

তিনি বলেন, তারেকের বিদেশে থেকে স্কাইপেতে কথা বলার বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছিলাম। তাদের যেহেতু আরপিও অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই ফলে প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় আছে, তারা ব্যবস্থা নেবে। আর বিষয়টির যদি উপযুক্ত সমাধান না হয় তাহলে প্রয়োজনে আমরা আদালতে যাব।

অনলাইনে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার সাইবার অপরাধ বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।

স্কাইপ অ্যাপ বন্ধ কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এটা বিটিআরসির বিষয়। তারা তো দেশের সীমানার বাইরে আকাশপথে যুদ্ধ করবে না। দেশের ভেতরে থেকে কেউ এমন প্রচারণা চালালে সে বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নিতে পারে। দেশের ভেতরের বিষয়ে হয়তো তারা এ ধরণের ব্যবস্থা নিয়েছে।

প্রথম দুই দিন স্কাইপে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়ায় যোগ দিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যিনি দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর এবং ২১ অগাস্ট গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন সাজার রায় মাথায় নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন।

দণ্ডিত একজন পলাতক আসামির এভাবে মনোনয়ন প্রক্রিয়ার যুক্ত হওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়ে গত রোববার নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এই মুহূর্তে তারেকের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই।

এরপর রাতে বাংলাদেশ থেকে স্কাইপ বন্ধ পাওয়ার খবর আসতে থাকে সংবাদমাধ্যমে। ইন্টারনেট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তা জানান, স্কাইপ আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে বিষয়টি অস্বীকার করে।

কালের আলো/এনএম