মোমেন-ব্লিংকেন বৈঠক কাল, প্রাধান্য পাবে যেসব বিষয়
প্রকাশিতঃ 10:44 pm | April 03, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বাংলাদশ-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন শনিবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। এ উপলক্ষে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য ড. মোমেনকে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন। আগামীকাল সোমবার (০৪ এপ্রিল) দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে ভবিষ্যতের সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনায় বসবেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, মোমেন-ব্লিংকেনের ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, বাংলাদেশি পণ্যের আরও সুবিধা নিশ্চিত করা, বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়াসহ দ্বিপক্ষীয় কিছু বিষয় আলোচনায় আসবে।
ঢাকা ত্যাগের আগে গণমাধ্যমকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ৫০ বছরে আমাদের (বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কীভাবে আরো জোরদার হবে সে ব্যাপারে বৈঠকে আলোচনা করবো।
ড. মোমেন বলেন, আমরা এই (নিষেধাজ্ঞা) ইস্যু উত্থাপন করবো। যেহেতু র্যাব একটি দক্ষ, কার্যকর এবং দুর্নীতিমুক্ত বাহিনী, তাই তিনি আশা করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া আসবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিরাজ করছে এবং গত এক দশকের বেশি সময় ধরে দেশ ব্যাপক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করেছে। কিন্তু কখনো কখনো আমাদের সফল ঘটনাগুলো বহির্বিশ্বে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। আমরা আমাদের সাফল্যের কথা বৈঠকে তুলে ধরবো।
তিনি জানান, তিনি আইনের শাসন নিশ্চিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ চৌধুরীকে হস্তান্তরের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করবেন। রাশেদ চৌধুরী এখন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় দেশ এবং এজন্য ঢাকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে কম আগ্রহী। গত আলোচনাকালে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেওয়া জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্টের (জিএসওএমআইএ) খসড়াটি পরীক্ষা করে দেখছে ঢাকা।
ওয়াশিংটন চায় ঢাকা যেন দুটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এ দুটি হলো- জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিএসওএমআইএ) এবং অ্যাকুইজিশন ক্রস সার্ভিসিং এগ্রিমেন্ট (এসিএসএ)।
এসব বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, খাদ্য নিরাপত্তা, নীল অর্থনীতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে সম্পৃক্ত থাকতে চায়- যা জনকল্যাণের সঙ্গে সম্পর্কিত। বাংলাদেশ তার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রেকে আমন্ত্রণ জানাবে।
অ্যান্টনি জে. ব্লিংকেনের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের ব্যাপারেও আলোচনা করবেন বলে জানান ড. মোমেন।
কালের আলো/এবি/এমএইচএ