‘বাংলাদেশ ল্যান্ড অব অপর্চুনিটি—এই ব্র্যান্ড নেম প্রচার করতে চাই’
প্রকাশিতঃ 7:03 pm | December 01, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:
বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অর্থনীতি ইস্যুর ওপর জোর দিয়েছিলেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ল্যান্ড অব অপর্চুনিটি—এই ব্র্যান্ড নেম আমি প্রচার করতে চাই। অর্থনীতির ওপর আমরা জোর দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অর্থনীতি ইস্যুর ওপর জোর দিয়েছিলেন। আমরা একইভাবে জোর দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতি ডিপ্লোমেসির ৫টি অংশ আছে। তার একটি হচ্ছে, দেশের মানুষকে আমাদের জল-পানিকে কাজে লাগানোর জন্য অধিকতর বিনিয়োগ দরকার। বিনিয়োগের পরিধি বাড়ানো দরকার। বিনিয়োগ বাড়ালে লোকজন কর্মসংস্থান পাবে। তাই আমরা এর ওপর জোর দিয়েছি। করোনায় আমরা অনেক বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছি। দোয়া করেন এগুলো যেন কাজে লাগাতে পারি।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বিজয়ের ৫০ বছরে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সফলতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে ধরনের রোডম্যাপ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে যা যা করা দরকার, সে ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। তার একটি বড় পদক্ষেপ হচ্ছে, দেশের জনগণের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।’
তিনি বলেন, অর্থনীতির সমৃদ্ধিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দুটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুটি প্যাকেজ চালু করেছি; একটির নাম দিয়েছি ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে, আমরা রফতানি বাড়াতে চাই। রফতানি বাড়াতে কাজ করছি এবং বেড়েছেও। ২০০৯ সালে রফতানি ছিল ১২ বিলিয়ন ডলার, এখন প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার। আমরা মোটামুটি বাড়িয়েছি। আরও বাড়াতে চাই।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের এক কোটি ২২ লাখ প্রবাসী মধ্যপ্রাচ্যে আছেন। সেখানে ভবিষ্যৎ খুব সুবিধার নয়। সে জন্য আমরা অন্যান্য দেশেও তাদের নিয়োগের চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, আমরা চাই দেশে-বিদেশে সফল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে। রোমানিয়ায় আগে কোনও দিন বাঙালি যায়নি। সেখানে ১০ হাজার বাঙালি নেওয়ার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয়েছে। এখন আমরা নতুন নতুন দেশে নিতে চেষ্টা করছি।
বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে সরকার কাজ করছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি কেউ ইনভেস্ট করে তবে সে তার প্রতিদান পাবে।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহিদুল্লাহ খন্দকার প্রমুখ।
কালের আলো/এসবি/এমএইচএ