পাচাররোধে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে প্রয়োজনে গুলি চলবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 2:36 pm | October 05, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:
পাচাররোধে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে প্রয়োজনে গুলি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, মিয়ানমার থেকে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও মানবপাচার রোধে প্রয়োজনে সীমান্তে গুলি চালানো হবে। যে কোনো মূল্যে এসব রোধ করবে সরকার।
‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কখনও গুলি চালাব না। কিন্তু, গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে গুলি চালাব।’
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের দেওয়া দুটি অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে সব ধরনের চোরাচালান বন্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। তিনি ভালো তথ্য দিতে পারবেন। উনারা তথ্য দিলে আমরা সে অনুযায়ী বক্তব্য দিই।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১০ সালে সিলেট বিমানবন্দর-বাদাঘাট বাইপাস সড়ক উন্নয়নের প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। ১২ বছরে ১২ কিলোমিটার রাস্তার কাজ হয়নি। এটা সংশ্লিষ্টদের জন্য লজ্জার। সওজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যর্থতার জন্য রিজাইন দেয়া উচিত।

উদাহরণ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে যখন পার্ক আসেন তখন তিনি আইন করেন একটা প্রকল্পের জন্য একজনই পরিচালক থাকবেন। এক ব্যক্তি একাধিক প্রকল্পের পরিচালক হবেন না। সময় মতো এই পরিচালক তার প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলে প্রমোটেড হবেন, আর ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে তাকে চাকরি থেকে বের করে দেয়া হবে। এ আইন বাস্তবায়নের ফলে দক্ষিণ কোরিয়া এখন মডেল। অথচ তারা আমাদের চেয়ে গরিব দেশ ছিল।
ড. মোমেন বলেন, এখন সময় এসেছে আমাদেরও এরকম চিন্তা-ভাবনা করার। প্রধানমন্ত্রীকেও এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে। কারণ জনগণের কাছে আমরা উন্নয়নের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উন্নয়নের ব্যাপারে কোনো গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়।
সিলেটের কোনো উন্নয়ন যাতে আটকে না যায়, সে ব্যাপারে স্থানীয় নেতাদেরও দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
কালের আলো/এসবি/এমএইচএ