পরীমণির নেপথ্যের সহযোগীদেরও গ্রেপ্তার করা হবে : ডিসি হারুন

প্রকাশিতঃ 6:03 pm | August 06, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

ঢাকাই সিনেমার বহুল বিতর্কিত নায়িকা পরীমনির অন্যতম সহযোগী ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমিসহ অন্য যারা অবৈধ কাজ ব্যবসায় জড়িত তাদের শিগগির গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর বিভাগের যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশিদ।

শুক্রবার ( দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

হারুন-অর-রশিদ বলেন, পরীমনি যেসব অবৈধ কাজ ও ব্যবসা করতো, সেগুলো কাদেরকে নিয়ে করতো, কাদের সহযোগিতায় করতো, কারা তার নেপথ্যে রয়েছে, আমরা তাদের নাম পেয়েছি। তার বক্তব্য নোট করছি। যারাই তার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদেরই গ্রেপ্তার করা হবে।

পরীমনির বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে, জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘পরীমনি একজন চিত্রনায়িকা। তিনি এর আড়ালে যে খারাপ ব্যবসাগুলো করতেন এবং এ ব্যবসাগুলোতে কারা তাকে পেট্রোনাইজ করেছেন, এ কথাগুলো তিনিও স্বীকার করেছেন। আমরাও নজরদারি করছি। ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমণির সঙ্গে জিমি নামের এক তরুণ গিয়েছিলেন। তার বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। আশা করি, দ্রুত সবাইকে আমরা আইনের আওতায় আনতে পারব।

তিনি আরও বলেন, যারা মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে, তারা এবং তাদের সন্তানরাই খারাপ কাজে লিপ্ত। যারা এই কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসময় অবৈধ মাদক ও পর্নোগ্রাফি কাণ্ডে গ্রেপ্তার প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বিষয়ে তিনি বলেন, রাজ একজন লেখাপড়া না জানা মানুষ। সে ছোট্ট একটা চাকরি করতো। বিভিন্ন মডেলকে নিয়ে সে ঘরোয়া পার্টি করতো। উচ্চবিত্তদের মডেল সাপ্লাই দিতো। তার কাছ থেকেও আমরা তথ্য পেয়েছি। সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।

বুধবার বিকাল সাড়ে চারটার কিছু সময় আগে নায়িকা পরীমনির বাসায় অভিযান শুরু করে র‌্যাব। চার ঘণ্টার অভিযানে বিপুল পরিমাণ মদ, ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি ও আইস উদ্ধার করা হয়। পরে প্রযোজক রাজের বনানীর বাড়িতে অভিযান শুরু করে র‌্যাব সদস্যরা। পরীমনির বাড়িতে অভিযানের খবর পেয়ে রাজ পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। তার বাসা থেকে বিদেশি মদ, সিসা সরঞ্জাম ও বিকৃত যৌনাচারের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরী মণি ও রাজের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে তিনটি মামলা করে র‍্যাব। পরে চিত্রনায়িকা পরী মণি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ চারজনকে মাদক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত প্রত্যেককে চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারপর তাদের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্তভার পায় ডিবি। ওই মামলায় ডিবি তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

কালের আলো/এসবি/এমআরকে