মুজিব চিরন্তন
প্রকাশিতঃ 9:59 am | March 20, 2021

আনিস আলমগীর :
গান্ধীর স্ত্রী কস্তুরা বাই যেমন গান্ধীকে মহাত্মা করে গড়ে তুলতে আর ভারতের জাতির পিতার আসন অলঙ্কৃত করতে তার জীবনটা গন্ধীর পেছনে উৎসর্গ করেছিলেন ঠিক তেমনি বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবও তিলে তিলে দুঃখ-কষ্ট ভোগ করে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ আর জাতির পিতার আসনে বসাতে অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘাতকদের হাতে আকস্মিকভাবে নিহত হলে চেষ্টা হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকেও মুছে ফেলার। আল্লাহ-তায়ালা সৎ সন্তানের জন্য প্রার্থনা করতে বলেছেন। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সব পুত্রসন্তানকে তার সঙ্গে হত্যা করা হয়েছিল, শুধু দুটি কন্যাসন্তান—শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানিতে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন, ঢাকায় তার অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের পূর্ববর্তী কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে। গত দীর্ঘ চার দশক শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে তার পিতাকে পুনরায় ইতিহাসের যথাস্থানে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে ছেড়েছেন। তিনি প্রকৃতই একজন পিতার সৎ ও যোগ্য কন্যার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ রাখলেন।
শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ঐতিহাসিক মুহূর্ত এবং রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করছে এমন এক শুভক্ষণে যখন বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এবং তারই কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী ১৭ মার্চ ২০২১ বুধবার বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যখন সভাপতির ভাষণ দিচ্ছিলেন, আমি তখন ভাবছিলাম আজ সরকারে যদি আওয়ামী লীগ না থাকতো এবং শেখ হাসিনা যদি প্রধানমন্ত্রী না থাকতেন কেমন হতো এই অনুষ্ঠানমালা।
কল্পনা এসেছে ঘোর অন্ধকার এক ইতিহাস বিকৃতির ছবি। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর যে লোকটিকে ইতিহাস থেকে মুছে দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা হয়েছে, তাকে ইতিহাস থেকে মুছে দেয়ার চেষ্টা এখনো যে দেশে অব্যাহত রেখেছে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র, সেখানে লোক দেখানোর জন্য হয়ত বিকৃত তথ্য দিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানমালা হতো কিন্তু পালিত হতো না বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। কিছু কিছু বিরোধী দল যেমন অভিযোগ করে থাকে বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগ তার সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে, আওয়ামী লীগও ঠিক সেই অভিযোগ করতে পারে যে- বঙ্গবন্ধুকে সে সব দলের নেতারা কি দৃষ্টিতে দেখেন। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতার জন্মশতবার্ষিকীতে তাদের কর্মসূচি কী ছিল?
এইতো কয়েকদিন আগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান করেছে বিএনপি। সেখানে মঞ্চে বক্তৃতায় কোথাও বঙ্গবন্ধু নেই, কোথাও জাতির পিতার স্বীকৃতি নেই। যেন আকাশ থেকে পড়ে একটি দেশ স্বাধীন হয়ে ৫০ বছর পার করে দিয়েছে! আর জিয়াউর রহমানের ঘোষণায় জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছে স্বাধীনতাযুদ্ধে!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে যথার্থই বলেছেন, ‘বাংলাদেশবিরোধী অপশক্তি এখনো দেশ-বিদেশে সক্রিয়। তারা নানা অপতৎপরতার মাধ্যমে এ অর্জনকে নস্যাৎ করতে চায়। তবে আজ বাংলাদেশ যে অবস্থানে পৌঁছেছে, সেখান থেকে সহজে নামানো যাবে না। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে, আমরা এই করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তবে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ঘাতকের গুলিতে সপরিবারে প্রাণ হারান। তখন তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। ৫৫ বছরের মাঝে বঙ্গবন্ধু জীবনের প্রায় ১৪টি বছর কারাগারে ছিলেন। পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনকালে বঙ্গবন্ধু ১৮ বার জেলে গেছেন। অবশিষ্ট জীবনের মাঝে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের জানুয়ারির ১০ তারিখ থেকে ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন তিন বছর সাত মাস।
প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু ক্ষমতার এই ৪৩ মাস পাঁচ দিনের মধ্যে যা যা করেছেন তা দিয়েই প্রশাসক হিসেবে তার সফলতা-ব্যর্থতা নিরূপণ করতে হবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি রাষ্ট্র থেকে নতুন একটি রাষ্ট্র গঠনে তিন বছর সাত মাস কি যথেষ্ট? তাও আবার স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের সঙ্গে নিজের অনুসারীদের সম্মিলনে অস্থির পরিবেশে।
প্রশাসক হিসেবে যারা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে কথা বলেন তারা মিথ্যার আশ্রয় নেন। যুদ্ধ করে একটি জাতিকে স্বাধীন করেন যে নেতা তিনি খারাপ প্রশাসক হন কী করে! পাকিস্তান আন্দোলনের একজন অগ্রগামী সৈনিক হয়ে বঙ্গবন্ধু সেই পাকিস্তানে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে সেই দলের নেতৃত্বে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন পাকিস্তানিদের কাছ থেকে। সেই লোক অদক্ষ প্রশাসক হলে, একটি রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়া এবং সেই দলের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন কী করে সম্ভব?
যারা বঙ্গবন্ধুকে দক্ষ শাসক নয় বলে প্রচারণা চালান, তারা বিষয়টা এভাবে চিন্তা করলেই বুঝবেন। আপনারা যাকে অদক্ষ বলছেন, আন্তর্জাতিক বইপত্রে তাকে আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন আর আয়ারল্যান্ডে প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট দে ভ্যালেরার সঙ্গে তুলনা করা হয়।
আপনার নিজের যদি ৫৫ বছরের জীবন পার করে থাকেন চিন্তা করে দেখুন আপনি কী করেছেন দেশের জন্য কিংবা ব্যক্তিজীবনে? না করে থাকলে দেখুন আপনার বাবা দাদা কী করেছেন। তখন বুঝতে পারবেন বঙ্গবন্ধুর অবদান কী।
বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে তার লেখা তিনটি বই পড়া উচিত সবার। এরমধ্যে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ (২০১২), ‘কারাগারের রোজনামচা’ (২০১৭) এবং ‘আমার দেখা নয়াচীন’ (২০২০) নামে বঙ্গবন্ধুর লেখা তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে, আমরা প্রায় সবাই জানি। এই তিনটি বই পড়লে জানা যাবে কেমন করে তিনি একজন জননেতা হয়ে উঠলেন। এবং কী লিখেছেন তিনি।
৫৫ বছর বয়সের জীবনের সিকিভাগ কেটেছে তার জেলে। এরমধ্যে স্কুলের ছাত্র অবস্থায় ব্রিটিশ আমলে সাতদিন কারাভোগ করেন, বাকি চার হাজার ৬৭৫ দিন তার জেলে কাটে পাকিস্তান আমলে। বাংলাদেশের আর কোনো রাজনৈতিক নেতার এত দীর্ঘসময় জেলে থাকার নজির নেই। বঙ্গবন্ধু জেলে থাকার সময় তাকে তার স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কয়েকটি খাতা কিনে দিয়েছিলেন জেলখানায় আত্মজীবনী লেখা আরম্ভ করার জন্য। তিনি তখন আত্মজীবনী লেখার ব্যাপারে তেমন কোনো উৎসাহবোধ করেননি, যা তিনি তার স্ত্রীকে খাতা দেয়ার সময় বলেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কখনও তার স্ত্রীর অনুরোধ উপেক্ষা করেননি। সম্ভবত সেই কারণে তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীসহ তিনটি বই আমরা পড়তে পারলাম।
শেখ হাসিনা তার পিতার বিভিন্ন লেখা কষ্ট করে সংগ্রহ করে প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধুকে লেখক হিসেবে জাতির সামনে তুলে ধরেছেন এবং অসম্পূর্ণ হলেও একটি গৌরবময় ইতিহাসের অংশকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী জাতির অশেষ উপকার করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী অসমাপ্ত, পরিপূর্ণ নয়। পাকিস্তানের জাতির পিতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ কোনো আত্মজীবনী লেখেননি। কিন্তু ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী তার আত্মজীবনী লিখেছিলেন এবং তার নাম দিয়েছিলেন—দ্য স্টোরি অব মাই এক্সপেরিমেন্টস উইথ ট্রুথ। জিন্নাহ, গান্ধী, নেহরু, সোহরাওয়ার্দীর মতো নেতারা, যারা ব্রিটিশের সময় স্বাধীনতার সংগ্রাম করেছিলেন, তারা সবাই ছিলেন বিলেতি ডিগ্রিধারী উচ্চশিক্ষিত মানুষ। আর বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো বিলেতি ডিগ্রি ছিল না। কিন্তু সবার আত্মজীবনী পড়লে বোঝা যায়, লেখার দক্ষতা, পারঙ্গমতা কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে সাধারণ ডিগ্রিধারী শেখ মুজিবেরও কম ছিল না। সমকালীন ঘটনার একেবারে খুঁটিনাটি বর্ণনা, আগামীর ইতিহাসকে দেখার চোখ ছিল তার প্রখর। জাতির দুর্ভাগ্য, তার অমূল্য পরিপূর্ণ আত্মজীবনীটা জাতি পেল না।
বঙ্গবন্ধুর ১০১ বছরে তার প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার ৫০ বছরে। বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক রাষ্ট্র থেকে ক্রমেই অর্থনৈতিক রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার জন্য লড়াই করছে। অতিসম্প্রতি স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের কাতারে শামিল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব আমাদের কারও কারও অপছন্দ হতে পারে কিন্তু বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান বলছে ভারত-পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজ সেই দুই রাষ্ট্রের নাগরিকরা বাংলাদেশকে এখন ভিন্নচোখে দেখছে। পরবর্তী উদীয়মান ১১টি মধ্যম আয়ের দেশের মধ্যে স্থান করে নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
দেখলাম সামান্য ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে সুনামগঞ্জে ঘটল সাম্প্রদায়িক ঘটনা। আমাদের ভাবতে হবে ধর্মান্ধ কোনো রাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যেতে পারে না। আধুনিক রাষ্ট্র ছাড়া জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার মানোন্নয়ন, শিক্ষা-দীক্ষা, সংস্কৃতি—কোনো কিছুর অগ্রগতি সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক শক্তি অর্জন না করলে মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামি রাষ্ট্রগুলো আমাদেরকে আজ ‘মিসকিন’ বলে যে অবজ্ঞা করে আর পশ্চিমা উন্নত রাষ্ট্রগুলোকে যেভাবে সম্মান করে—সে ধারার পরিবর্তন হবে না। আমরা যখন স্বাধীনতা অর্জন করি পাকিস্তান ছিল উপমহাদেশের সবচেয়ে উন্নত রাষ্ট্র। আজ মৌলবাদের চক্করে পড়ে তারা তৃতীয় স্থানে। নরেন্দ্র মোদির শাসনে হিন্দু মৌলবাদের আস্ফালনে ভারতও চলছে পেছনের দিকে। বাংলাদেশকে আমরা ধর্মান্ধ-মৌলবাদী রাষ্ট্র বানালে পরিণতি কী হবে পাকিস্তানের উদাহরণতো আমাদের সামনেই আছে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ‘এই বাংলায় হিন্দু-মুসলমান, বাঙালি-অবাঙালি যারা আছে তারা আমাদের ভাই। তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের উপরে। আমাদের যেন বদনাম না হয়।’ সেই প্রেক্ষিতে অবুঝদের বোঝা উচিত পাকিস্তান ভেঙে আরেকটা পাকিস্তান বানানোর জন্য বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়নি। কিংবা আজকের হিন্দু মৌলবাদীদের ভারত বানানোর জন্যও না। একটি অসাম্প্রদায়িক বৈষম্যহীন রাষ্ট্র তৈরি ছিল আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন।
‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলো আবার স্মরণ করতে চাই। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র হলেও, এখন সময় সামনে এগিয়ে যাওয়ার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সব অপতৎপরতা প্রতিহত করে প্রিয় মাতৃভূমিকে উন্নয়ন-অগ্রগতির পথ ধরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাই।’
শেখ হাসিনা যথার্থই আহ্বান করেছেন, এখন শুধু আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। পেছনে ফিরে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই। সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে এ দেশকে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শোষণ, বঞ্চনা, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার শপথ নেয়ার দিন এখন।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট, ইরাক ও আফগান যুদ্ধ-সংবাদ সংগ্রহের জন্য খ্যাত।