ক্রিকেটারদের খ্যাতির চাপ নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে
প্রকাশিতঃ 12:47 pm | February 28, 2021

স্পোর্টস ডেস্ক, কালের আলো:
১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে জোয়ার এসেছে। সময় স্রোতে খেলাটির প্রতি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো পৃষ্ঠপোষকতায় ঝুঁকেছে, বেড়েছে অর্থের ঝনঝন। কিন্তু বছর দশেক ধরে নানা সময়ে বিতর্কিত কর্মকা-ে নেতিবাচক শিরোনাম হয়েছেন ক্রিকেটাররা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের হাস্যরসের খোরাক হচ্ছেন, যাতে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে তাদের ইমেজ। সাবেকরা বলছেন, ক্রিকেটের বাইরের জীবনে অনুশাসন মেনে নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে। মনোবিদদের মতে, খ্যাতির চাপ সামলাতে না পারলে তার প্রভাব পড়ে খেলার মাঠে।
ক্রিকেটাররা সমাজের আইকন, অনুকরণীয়, অনুসরণীয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাখো ফলোয়ার নয়, বাস্তব জীবনেও সাকিব-তামিম হতে চান হাজারো কিশোর। তাদের দেখে শেখেন। ব্যাট বল হাতে মুস্তাফিজ-মুশফিকরা কেবল এক একজন খেলোয়াড় নন। বিশ্বের বুকে লাল সবুজের প্রতিনিধিত্বকারী।
কিন্তু বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তিগত কারণে খবরের শিরোনাম হয়েছেন নাসির, মোসাদ্দেক, সাব্বির থেকে আরাফাত সানিরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যেতে হয়েছে পুলিশের কাছেও। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ক্রিকেট তারকা হিসেবে তাদের ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ক্রিকেটের স্বার্থে ইমেজ পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ সাবেক এই ক্রিকেটারের।
খ্যাতি অর্জনের চেয়ে ধরে রাখা কঠিন। খ্যাতনামা হবার পর ভুলের মাশুলও গুনতে হয় চড়া। এক সময় টিমের অটোচয়েজ নাসির নেই বিসিবির আন্তর্জাতিক সার্কিটের কোনো তালিকায়। মাঠের বাইরের কর্মকাণ্ড খেলায় প্রভাব ফেলে। মনোবিদরা বলছেন, চাপ সামলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে ক্রিকেট তারকাদের।
মনোবিদ তামান্না চৌধুরী বলেন, ‘ক্রিকেটাররা পাবলিক ফিগার। সমাজের কাছে তাদের দায়বদ্ধতা আছে। নানা রকম চাপ আসবে। সেগুলো সামলে নিয়ে তাদের এগুতে হবে। পাবলিক ফিগার হিসেবে তাদের মাধ্যমে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
বিপন্ন হবার আগেই নাকি ঘুরে দাঁড়াতে হয়। মাঠের বাইরে বিতর্কিত ক্রিকেটাররা ঘুরে দাঁড়াবেন। তাদের দেখে শিখবে বাকিরা। এটাই চাওয়া এই অস্থির সময়ে।
কালের আলো/ডিএসবি/এমআরকে